বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মানুষকে আমরা মানুষের মর্যাদা দিতে চাই। দল-ধর্মের ব্যবধান না করে মানুষকে দেশের স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য দরকার। বিভক্ত জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। বিভক্ত জাতির জন্য অপমান ও লাঞ্ছনা অনিবার্য। সে ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অপমান ও লাঞ্ছনা চলেছে। যা আর চলতে দেওয়া যায় না বরং তা পাল্টানোর সময় এসেছে। এজন্য আমাদেরকে অতীত বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার সকালে সিলেট নগরীর চন্ডিপুলস্থ এক কনভেনশন হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট অঞ্চল পরিচালক এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্বে এবং জয়নাল আবেদীন ও নজরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর ফখরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, যে জড়োসড়ো হয়ে চলে সে নিজের জন্য যেমন বোঝা; ঠিক তেমনিভাবে পরিবার ও সমাজের জন্যও বোঝা। আর যে ব্যক্তি নিজেকে মেলে ধরতে পারে সে নিজের জন্য যেমন এসেট; ঠিক তেমনিভাবে পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্যও এসেট। তাই আমাদের প্রত্যেককেই এসেট হওয়ার শপথ গ্রহণ করতে হবে। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আমীরে জামায়াত আরও বলেন, গণমানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির আদর্শ ও মূলমন্ত্র। তাই জামায়াতের নেতাকর্মীরা সবসময় মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা সব সময়ই আপোষহীন রয়েছি। আমরা আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে চলি। মানুষের মাঝে কুরআন-হাদিসের দাওয়াত দেই আমলী ভাষায়। আর এই দাওয়াত হচ্ছে মহান আল্লাহর প্রতি আহবান এবং দ্বীনে হক্ব। আমরা চাই আমাদের দাওয়াতের মাধ্যমে মানুষ তাদের প্রকৃত ঠিকানা খুঁজে নিক।
তিনি ৫ আগস্টের বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা দক্ষিণ এর আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, নায়েবে আমীর মাওলানা লোকমান আহমদ, উত্তর জেলা আমীর হাফিজ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন খান, নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার শায়খ আজাদ সোবহান প্রমূখ।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে দারস পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদসস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান।