বাবুল মিয়া সুনামগঞ্জ:

সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিস থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড। পায়ে হাটলে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫মিনিটের দূরত্ব। গতকাল (১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার সময় উক্ত ওয়ার্ডের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের সালাম ম্যানশন ও সংলগ্ন বাসা প্রায় ২২ ঘন্টা বিদুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলো। সকালে কিছু সময় বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা গেলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন বিল্ডিংয়ে থাকা বাসিন্দারা। ১৭ বার ফোন করা হয় সংশ্লিষ্ট অফিসে। তারপরও কোন সুরাহা হয়নি।

দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো. বাবুল মিয়া জানান, গত কয়েকদিন যাবত বিদ্যুতের ভোল্টেজ আপ-ডাউন করার কারণে বাসার বিদ্যুৎ লাইট নষ্ট হয়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যার পর বাসার বিদ্যুতের ভোল্টেজ আপ-ডাউন করে দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পরিবারের লোকজনদের নিয়ে পড়েন চরম বিপাকে। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে রাত ১১টার পর ফোন দেন বিউবো’র প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, মো. আবু নুয়মানকে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ‘এখন যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে কাল সকালে লাইনটি দেখার জন্য লোক যাবে। আপনি কন্ট্রোল রোমে যোগাযোগ করেন, আমিও বলে দিচ্ছি’।

এরপর থেকে সারারাত কন্ট্রোল রোমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সেবা সেন্টারে ১৬২০০ নাম্বারে যোগাযোগ করে একটি অভিযোগ প্রদান করা হয়। অভিযোগ নম্বর ঃশঃ-২০২৪০৭০১১১১৪১৪-৫৩৯৬. । তিনি জানান, গতকাল থেকে ১৭ বার ফোন দেওয়ার পরও টনক নড়েনি বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্টদের। বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিটাল নাগরিকসেবা যেনো হতাশার আরেক নাম। প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, মো. আবু নুয়মানকে পরে একাধিকবার ফোন করার পরও তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।