ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাখরাবাদ গ্যাসের তিন কর্মকর্তা ও এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা
23, June, 2024, 12:53:39:PM
মোঃ রেজাউল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (বিজিডিসিএল) তিন কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে ও আবারো উৎকোচ দাবি করে বৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আদালতে মামলা।
গত (১১) জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতে হাবিব মিয়া (৬২) নামে এক ভুক্তভোগী এ মামলা দায়ের করে। মামলা নং- সিআর/৯৮৭।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে আশুগঞ্জ টু আখাউড়া স্থলবন্দর রাস্তার কাজ করার সময় ভোলাচং গ্রামের গ্যাস লাইনের লিকেজের সৃষ্টি হলে ভোলাচং গ্রামের গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম (সাবেক ম্যানেজার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ ঘাটুরা সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া), তারেক (সহকারী প্রকৌশলী), সেলিম চৌধুরী (রাইজার ঠিকাদার, মধ্যপাড়া) তাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সরকারিভাবে গ্যাস সংযোগ দিতে দীর্ঘ সময় লাগবে। তড়িৎ সংযোগ নিতে চাইলে তাহাদেরকে ৭ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। এমনকি উল্লেখিত টাকা না দিলে এই অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে দাবিকৃত ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হলেও মাত্র এক মাস পর আবারো লাইল কেটে দেওয়া হয়। তখন শফিকুল ইসলাম ও সেলিম চৌধুরী আবারও ১০ লাখ টাকা দাবি করলে মামলার বাদী হাবিব নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসীর সাথে আলাপআলোচনা করে ৮ লাখ টাকা দিয়ে সংযোগটি আবারো সচল করেন।
তারপর শফিকুল ইসলাম বদলি হয়ে কুমিল্লা চলে গেলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাখরাবাদ ডিজিএম শাহ আলম আবারো গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণ হিসেবে তিনি জানান, সাবেক ম্যানেজার শফিকুল এই গ্যাস সংযোগটি অবৈধ বলে রিপোর্ট দিয়ে গেছে। তখন ডিজিএম শাহ আলম গ্যাস লাইন সংযোগ বাবত ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিলেই কেবল তিনি পুনরায় লাইন সংযোগ দেবেন বলে জানান। গ্যাস গ্রাহকরা ডিজিএমকে বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরও দাবীকৃত ঘুষের টাকার জন্য অটল থাকেন। অবশেষে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্ত হন।