হাসি আক্তার:

নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলার সাটুরিয়া শোলহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতন আলী। এ ঘটনায় অভিযোগ করা হলে ছাত্রীসহ শিক্ষককে খুঁজছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড় বইছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক রতন আলীর বাড়ি পাশর্^বর্তী ধামরাই উপজেলার জামিরাবাড়ী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে। তিনি সাটুরিয়া শোলহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে তিনি ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন রতন আলী। গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাজনিত কারণ দেখিয়ে ৩ দিনের ছুটি নেন রতন আলী। রবিবার সকালে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীও বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পথিমধ্যে ওই শিক্ষক প্রাইভেটকার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। ওই ছাত্রী পৌঁছামাত্র রতন তার সহযোগিদের নিয়ে প্রাইভেটকারে করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

বিষয়টি বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা ও পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো হদিস পায়নি। ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনার দিনই তার বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে উধাও হওয়া ছাত্রীসহ শিক্ষককে খুঁজছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম-মাফিক আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন থেকে ওই শিক্ষক তার মেয়েকে প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। উনার বয়স বেশি হওয়ার করণে তার সাথে যোগাযোগ না রাখতে মেয়েকে নিষেধ করেছি। এরমধ্যে হঠাৎ এই ঘটনা ঘটল।

মেয়েকে ফিরে পেতে আকুতি জানাচ্ছেন পরিবারের লোকজন। এসময় তার বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ওই শিক্ষকের স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও আমার অপ্রাপ্ত বয়সের অবুঝ মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে। সুস্থ অবস্থায় আমার মেয়েকে ফেরত চাই। আর শিক্ষক নামের ওই অমানুষের কঠিন বিচার চাই।

ওই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য শামীম আল রাজী জানান, আমার মনে হচ্ছে এই ঘটনা একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এ ঘটনা জানার পর ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি পুরোপুরি প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ শিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, বিষয়টি জানার পর ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও উনাকে পাচ্ছি না।