দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিলকে স্বাগত জানিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, দিরাই-শাল্লা আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে দিরাই উপজেলাধীন রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি দিরাই পৌরশহর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা পয়েন্টেচ এসে শেষ হয়। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার।
প্রায় ৩ শতাধিক মোটরসাইকেল শোডাউনটি সার্বক্ষণিক ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
পরে পৌরশহরের কলেজ রোডস্থ বাগান বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে প্রদ্যুৎ সমর্থকের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।
এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিহির রঞ্জুর দাসের সভাপতিত্বে ও দিরাই কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিটু তালুকদার দিপুর সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, রফিনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা প্রদীপ দাস, দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জয়ন্ত সামন্ত, সিলেট বিভাগের মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য পীযুষ কান্তি তালুকদার, সিলেট মহানগর ৮ং ওয়ার্ডের সহসভাপতি রতি রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নীলকান্ত রায় প্রান্ত, দিরাই উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুকসুদ আলম, বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অমর চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএনপি জামায়াতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার বলেন, আগুন সন্ত্রাসীদের রাজপথে প্রতিহত করা হবে। শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও-পোড়াও, সরকার বিরোধী মিছিল সমাবেশ করেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আবারো আওয়ামীলীগকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আমি হাওর পাড়ের সন্তান, শৈশব কৈশোরে কাঁদা-মাটি গায়ে মেখেই বড় হয়েছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, আমি আপনাদের সেবক হিসাবে কাজ করতে নৌকার মনোনয়ন জমা দিতেই আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদ নিতে এসেছি। আপনারা আমাকে দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন, আমি নৌকার মনোনয়ন নিয়ে আসতে পারি। দিরাই-শাল্লার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে চাই।