বরগুনা প্রতিনিধি:

পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে অস্বীকার করে চলে যাওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন রুবি (২৭) নামের এক নারী। তবে, অভিযোগ রয়েছে প্রেমিক আল-আমিন প্রেমিকা রুবিকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়াই পুলিশ বলছেন আত্মহত্যা করেছে রুবি।

সোমবার বরগুনা সদর উপজেলার ৩নং ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের সাহেবের হাওলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে রুবির মরদেহ বুঝে নেয় তার পরিবার।

৩নং ফুলঝুরি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আঃ হামিদের বড় মেয়ে রুবি। অন্যদিকে অভিযুক্ত আল-আমিন একই এলাকার বাসিন্দা আবু তালেব মাস্টারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন পশু ডাক্তার।

জানা গেছে, পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় রুবির। কিন্তু আল-আমিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয় তার। সেই সংসারে একটি ছেলে রয়েছে। বিচ্ছেদের পর থেকেই বাবার বাড়ি থাকেন রুবি। সেই সুবাদে আল-আমিন ও রুবির সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জানান দেন তারা। তবে বিবাহ হয়েছে এমন কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় আল-আমিনকে রুবির বাড়ি আসতে নিষেধ করেন রুবির পরিবার। রুবি গত কয়েকদিন ধরে আল-আমিনের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি হিসেবে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে দুজনের মাঝে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। পরের দিন সকালে আল-আমিন প্রেমিকা রুবির বাড়ি আসে এবং সন্ধ্যার পূর্বে চলে যায়। আল-আমিন চলে যাওয়ার পর রুবিকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তার পরিবারের লোকজন। ঝুলে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে রুবি জীবিত ভেবে তাকে নামিয়ে দেখেন সে মৃত।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার নিহার রঞ্জন বৌদ্ধ বলেন, পুলিশ সহ ওই নারীর আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে আসলে তাকে আমি মৃত ঘোষণা করি। পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট আসতে ১০ দিন সময় লেগে যাবে।

এ ব্যাপারে বরগুনা থানার এসআই হেলাল সাংবাদিক স্বাধীন বাংলা’র এ প্রতিবেদককে জানান, রুবি আত্মহত্যা করেছেন। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে. এম মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলমান।