মো. রুবেল হোসেন, নওগাঁ : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আসনটি জাতীয় সংসদের ৪৭ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। দুই দলেই রয়েছেন একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে এক রকম গোপন লড়াই চলছে নিজেদের মধ্যে। আর বলতে গেলে এবার দুই দলেই মনোনয়ন ‘যুদ্ধ’ চলছে প্রকাশ্যে পুরনোদের সঙ্গে তরুণরাও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে শামিল হয়েছেন।
ভারতের সীমান্তঘেঁষা এ আসনের দুটি উপজেলাই আয়তনে বেশ বড়। মূলত উন্নতমানের ধান উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত এবং কৃষিনির্ভর অর্থনীতির এ এলাকা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য বলা চলে মর্যাদার লড়াই। আসনটি দখলে রাখতে ক্ষমতাসীনদের এবং পুনরুদ্ধারে নামতে হবে বিএনপিকে।
রাজনৈতিক কারণে নওগাঁ জেলার ছয়টি আসনের গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোর মধ্যে নওগাঁ-২ আসনটি অন্যতম। এখানে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৭ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে পত্নীতলা উপজেলায় পুরুষ ৮৮ হাজার ৭০০ জন, নারী ৮৮ হাজার ৫০৫ জন; মোট এক লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ জন। ধামইরহাট উপজেলায় পুরুষ ৭০ হাজার ৩২৮ জন, নারী ৭০ হাজার ১৯৩ জন; মোট এক লাখ ৪০ হাজার ৫২১ জন ভোটার রয়েছেন।
বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সামশুজ্জোহা খান বিজয়ী হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির শাসনামলে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। বিএনপির সামশুজ্জোহা খান বিজয়ী হয়। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২২ হাজার ৭ শত ৫৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেছুর রহমান। তিনি পান ৪ হাজার ৪ শত ৩৩ ভোট।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করে। এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সামশুজ্জোহা খান বিজয়ী হন ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৩শত ৫৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯ শত ৫৪ জন। নির্বাচনে বিএনপির সামশুজ্জোহা খান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬২ হাজার ৫ শত ৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৫ হাজার ১ শত ৯৯ ভোট।
অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির শামশুজ্জোহা খান নির্বাচিত ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩১ হাজার ১ শত ৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৫ হাজার ৮ শত ৪ জন। নির্বাচনে বিএনপির শামশুজ্জোহা খান বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১২ হাজার ৮ শত ২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৮৯ হাজার ৩ শত ৭৭ ভোট।
নবম সংসদ নির্বাচন : আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার বিজয়ী হন ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬২ হাজার ২ শত ৮৯ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৭ শত ৬ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭ শত ৯৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির শামশুজ্জোহা খান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৯৫ হাজার ৪ শত ৫ ভোট।২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার নির্বাচিত হন ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৯১ জন। ভোট প্রদান করেন ২লাখ ৮১ হাজার ৬ শত ২৩ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির শামসুজ্জোহা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন,হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দেলোয়ার হোসেন, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির এস জে এ আর ফারুক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান সরকার নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৭২ হাজার ১ শত ৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির শামশুজ্জোহা খান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬ শত ৬৫ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা এবং ধামইরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এমপি শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল হক, পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পত্নীতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল গাফফার, বিএম আবদুর রশিদ এবং জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাহেদ রফি পাভেলের নামও শোনা যাচ্ছে।
বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন মনোনয়ন প্রত্যাশী। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন। এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দেলোয়ার হোসেন, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির এস জে এ আর ফারুক।
মনোনয়নের বিষয়ে জানতে এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলদার হোসেন বলেন, জনগণ আবারও নৌকাকে বিজয়ী করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কারণ এই সরকার ক্ষমতায় এলে মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বর্তমান এমপির কল্যাণেই এলাকার শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ আসনে তার বিকল্প প্রার্থী নেই বলে মনে করি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম বলেন, দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে বিজয়ী হব বলে আশাবাদী। এলাকার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষার দক্ষতা বাড়াতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার আরও সমুন্নত করতে কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
দলকে শক্তিশালী করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বিএম আবদুর রশিদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃণমূল ও হাইকমান্ডের সঙ্গে লবিং অব্যাহত রেখেছি। এ দুই উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। আশা করি, দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে। মনোনয়ন পেলেই আমি জয়ী হবো।
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, নজিপুর পৌরসভা সাবেক মেয়র আমিনুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে নিয়ে ১৯৬৬ সাল থেকে দলের রাজনীতি করে আসছি। দুর্দিনে আমি ব্যাপক সহযোগিতা করেছি। বর্তমানে এমপি শহীদুজ্জামান সরকার দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচিতি নেই। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ এসব নেতার কাছে জিম্মি। তাই দলের প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনি মনোনয়ন চাইব। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনটি উপহার দেব।
এছাড়াও বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন মনোনয়নপ্রত্যাশী।
শামসুজ্জোহা খান জোহা বলেন, গত তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলাম। আমি মাঠে আছি। অবস্থান ভালো। এখানে বিএনপির প্রার্থীর কোনো পরিবর্তন হবে না। দল যদি নির্বাচনে যায় ও মনোনয়ন দেয় তা হলে নির্বাচনে যাব। এ ছাড়া স্বচ্ছ নির্বাচন হলে বিজীয় হবো ইনশাআল্লাহ। আমার সময় এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তার ধারে কাছে কেউ আসতে পারবে না। এলাকায় সড়ক, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো আঁতাত ছিল না।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার তরুণদের মাঝে রাজনীতির জোয়ার এনেছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী। দীর্ঘ সময় থেকে তিনি এলাকাবাসীর কাছাকাছি আছেন। মনোনয়ন পাওয়ার আশায় কাজ করছেন তিনি।
খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তরুণ নেতৃত্বই এখন জনপ্রিয়। প্রতিযোগিতা সবখানেই থাকবে। আমি মনে করি দল আমার কর্মের মূল্যায়ন করবে। দীর্ঘ ১৯ বছর থেকে তৃণমূল মানুষের সঙ্গে কাজ করছি। ওপরের নির্দেশেই আমি মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আমি এ আসনে মনোনয়ন পেলে জয়ের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, দেশের মধ্যে পত্নীতলায় বিশুদ্ধ চিনামাটির খনি আছে। যদি কখনো ক্ষমতায় যায় তাহলে চুনাপাথর ঘিরে এলাকায় সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার ইচ্ছা আছে। যেখানে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নওগাঁর ভেতর দিয়ে জয়পুরহাট পর্যন্ত রেললাইন তৈরি করা হবে। এটা হলে অর্থনৈতিক আরও উন্নয়ন হবে।
এদিকে তরুণ ও নতুন ভোটাররা জানায়, তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ্বাসী। যারা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবেন তাদেরকেই তারা ভোট দিবেন।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, নওগাঁ-২ (পত্নীতলা এবং ধামইরহাট) উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত। জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক তৎপরতা নেই বলা যায়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ৪৭, নম্বর নওগাঁ-২ আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে।
|