দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত রাসায়নিক বর্জ্য ও অপরিচ্ছন্ন কর্মপরিবেশের কারণে পোশাকশ্রমিকদের বিভিন্ন ব্যাধি হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করার পাশাপাশি ১২ দফা পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন আওয়াজ ফাউন্ডেশন।
সোমবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।
সমাবেশে আওয়াজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মমতাজ বেগম বলেন, অন্যান্য সকল ক্ষেত্রের মতো পোশাকশিল্পেও পরিবেশ দূষণের প্রভাব বহুদিন ধরে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের পরিবেশ দূষণের ফলে কারখানার আশেপাশে যেসব শ্রমিকরা থাকে তাদের খাবার, তাপমাত্রা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ খুবই নোংরা। নোংরা পরিবেশের কারণে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগের শিকার হয়। কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক বর্জ্য ও অপরিচ্ছন্ন কর্মপরিবেশের কারণে তাদের বিভিন্ন পেশাগত ব্যাধি হয়। এসবের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের জন্য বাসযোগ্য আবাসস্থল নিশ্চিত করতে হবে। যথাস্থানে কারখানা নির্মাণ করতে হবে। প্রকৃতি বিনাশ করে এভাবে শিল্পকারখানা ও স্থাপত্য নির্মাণ চলতে থাকলে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে।
পরিবেশের জন্য প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মমতাজ বেগম বলেন, আমাদের সকলের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য এখনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সারা বিশ্ব পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সব মিলিয়ে নিম্ন শ্রেণির মানুষের এক নতুন সংকট তৈরি হয়েছে, যার ফলে এই শ্রেণির মানুষ আরও দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়েছে।
সমাবেশে পরিবেশ রক্ষায় ১২ দফা পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, আরএমজি ফোরামের সভাপতি লিলি বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ঊর্মি আক্তারসহ বিভিন্ন কারখানার ইউনিয়নের শ্রমিকনেতারা।