টানা ২ মাস দরপতনের বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম, ১২ কেজির নতুন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৩৫ টাকা। গত এপ্রিল মাসে এই দর ছিল ১১৭৮ টাকা আর মার্চে ছিল ১৪২২ টাকা।
অন্যদিকে অটোগ্যাস লিটার ৫৪.৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭.৫২.টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হল রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করে চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য কামরুজ্জামান, ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মোঃ আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মোঃ খলিলুর রহমান খান।
২০২১ সালের এপ্রিলে সর্বপ্রথম দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিক্রি হওয়া এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিমাসেই নিয়ম করে দাম সমন্বয় চলছে। তবে সেই দরে বাজারে এলপিজি না পাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে কিছু অভিযান হলেও খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় নয়। এ বিষয়ে বিইআরসির বক্তব্য হচ্ছে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তাদেরকেও সচেতন হতে হবে, তার যেনে নির্দিষ্ট দরের বেশি না দেন। কোন ব্যবসায়ী বেশি দাম চাইলে যেনো ক্রয় রশিদ বুঝে নেন। তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিলকোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল দর ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল আমদানি নির্ভর এই জ্বালানিরসৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে।সৌদির দর উঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্যকমিশন অরপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
তবে বিইআরসির ঘোষিত দর বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন। এ বিষয়ে বিইআরসির বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সেলিম খান অভিযোগ করেন, আপনারা খুচরা দাম নির্ধারণ করেছেন ১২৩৫ টাকা। আর কোম্পানি মিল গেটে প্রাইস ১২৩৫ টাকা ঘোষণা করেছে। জানি না কত কমিশন দেবে জানি না।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আশা করছি ঘোষিত দর মেনে চলবে বিক্রেতারা। কোম্পানি বলে গেছে ১১৬০ টাকায় বিক্রি করবে। নির্ধারিত দরে বিক্রি না করলে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া