মহসিন পারভেজ,  ক্রাইম রিপোর্টার:  

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ী দুর্ঘটনা। এতে করে প্রাণহানির পাশাপাশি পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই। আহত ও নিহতের মধ্যে রয়েছে যাত্রী ও গাড়ির চালক। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে ও গাড়ি দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে জেলার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ। প্রতিদিনই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহ চালকদের সচেতন করতে তাদের কে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ও  মোটিভেশন করা হচ্ছে।

দেশের পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ জেলার প্রায় ৭৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসব সড়কে প্রতিদিন ৫০ হাজারেরও অধিক যানবাহন চলাচল করে। তারমধ্যে যাত্রীবাহী পরিবহনের সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশী। আর এসব সড়কে প্রায়ই চালকদের বেপরোয়া গতি, আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলারের চলাচল ও রাস্তার বাঁক থাকা সহ বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশ তাদের স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে তৎপরতা চালালেও চালকদের অসচেতনতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।

এদিকে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমিয়ে আনতে ও মহা সড়ককে নিরাপদ করতে মাঠে নেমে কাজ করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ। খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্ব রোড় মোড়, কুট্টাপাড়া, শাহবাজপুর, কাউতলী, আশুগঞ্জ গোল চত্তর সহ মহা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চৌকি বসিয়ে অভিযান পরিচালনা চালানো করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি নিয়মিত পুলিশ স্পীড গানের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহনের গতি পরিমাপ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং মামলা দেয়া হয়। এছাড়াও চালকরা মদ্যপ্য অথবা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় যান চালাচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখছে । পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করে সড়ক গুলোকে নিরাপদ করা হচ্ছে।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ বিশ্বাস জানান, মহাসড়ককে নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক-মহাসড়কে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমে এসেছে। এছাড়াও জেলার আশুগঞ্জ থেকে ধরখার পর্যন্ত ফোরলেন সড়কের কাজ চলায় সেখানে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সে বিষয়েও আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। তিনি আরো জানান গত ৩ মাসে সড়ক আইন অমান্য করায় বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ৪৯৮টি মামলা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫৩ থ্রী হুইলারের বিরুদ্ধে ২৫৩ টি ও  দ্রুত গতির যানবাহনের বিরুদ্ধে ১৩৭ সহ অন্যান্য ১০৮টি মামলা হয়। এছাড়াও মহাসড়কের পাশ দখল করে গড়ে উঠা বিভিন্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করে যান চলাচল প্রতিবন্ধকতা নিরসন করা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দক্ষ চালকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।