রাজধানীর গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকাতে বাস মালিক সমিতির উদ্যোগে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালুর পর তৃতীয় দফায় আরও ৯৪৭ টি পরিবহনে চালু হতে যাচ্ছে এ পদ্ধতি। ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে নতুন এই পরিবহনগুলোতে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের অভিযোগ ছিল ভাড়া নৈরাজ্য হচ্ছে। বিষয়টি আমরাও পর্যবেক্ষণ করে প্রমাণ পাওয়ার পর সব অংশীজনদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে আমরা পরিবহনগুলোতে টিকেট পদ্ধতি চালু করেছি। এই পদ্ধতিতে সুফল পাওয়ায় আমরা ক্রমান্বয়ে দুই দফায় ২ হাজার ৩৬০ টি পরিবহনে টিকেট পদ্ধতি চালু করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আরও ৯৪৭ টি পরিবহন আগামী ১ মার্চ থেকে চালু হতে যাচ্ছে এই পদ্ধতি। আমরা প্রথম দফায় ৩০ টি কোম্পানির ১৬৪৩ টি এবং দ্বিতীয় দফায় ১৬ টি কোম্পানির ৭১৭টি এবং আগামী কাল ১৩ টি কোম্পানির ৯৪৭ টি পরিবহনে টিকেট পদ্ধতি চালু হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই পদ্ধতি চালু করার পরও যাত্রীদের নানান অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া উল্লেখ করা নাই। এতে ভাড়া বেশি আদায় হচ্ছে। বিষয়টি আমরা বিআরটিএকে অবহিত করেছি। তাদেরকে আমরা অনুরোধ করেছি দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়ার চার্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সেলক্ষ্যে বিআরটিএ এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ ৪৬ টি পরিবহনের স্টপেজের দূরত্ব মাপার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এই ভাড়ার চার্ট কিলোমিটার অনুযায়ী ইটিকেটিং ডিভাইজে যুক্ত হয়ে যাবে। তখন যাত্রীদের অভিযোগ থাকবে না।
টিকেট পদ্ধতি চালু হলেও অনেক বাসের হেলপার এখনো এনালগ পদ্ধিতে হাতে হাতে ভাড়া আদায় করছে। তাহলে ইটিকেটিংয়ের কাজ কি এমন প্রশ্নে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আমরা বিষয়গুলো লক্ষ করছি। এজন্য আমরা রুটগুলোতে ভিজিল্যান্স টিম নামিয়েছি। টিমের সদস্যরা মাঠে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। যেসব বাসে এধরণের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া অনেক যাত্রীও টিকেটে ভাড়া দিতে চায় না। এটাও সমস্যা। যাত্রীরা সচেতন হলে এই সমস্যা আরও কমে আসবে।
তিনি বলেন, ৯৭ টি কোম্পানির আওতায় ৫ হাজার ৬৫০ গণপরিবহন চলছে রাজধানীতে। ইতোমধ্যে এসব পরিবহনের মধ্যে ৫৯ টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩০৭ টি গাড়িতে টিকেট সিস্টেম চালু হয়েছে। বাকিগুলোতেও এই পদ্ধতি চালু করতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।