ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা
26, February, 2023, 3:03:20:PM
আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দশনা মোতাবেক উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। আমরা সেই কমিটির রিপোর্ট আজ হাতে পেয়েছি। আজকেই আমরা এটা পাঠিয়ে দেব, কালকের মধ্যে হাইকোর্টে এটা সাবমিট হবে। এরপর হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলার অনুমতি আমাদের নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তারা চাইলে বলতে পারেন।
এদিকে শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্তের সহায়ক সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করতে পারেনি হল প্রশাসন।
সূত্র জানায়, ফুটেজ না পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। মনিটর সচল থাকলেও বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ায় ফুটেজ আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। গত শনিবার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে এটি তদন্ত কমিটির সদস্যদের নজরে আসে।
জানা যায়, হলের বাইরে এবং ভেতরে মিলিয়ে মোট ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। এর মাঝে দুইটা অচল। ক্যামেরাগুলো যে অবস্থানে লাগানো রয়েছে তাতে ওই রাতের ঘটনার একটা অংশ ভিডিও ধরা পড়ার কথা এসব ক্যামেরায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আহসানুল আম্বিয়া বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। তবে আমার ধারণা ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভাবনা ক্ষীণ। এখন রিকভকারি এক্সপার্টরা যদি পারে তাহলে ভালো কথা।
এ বিষয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. শামসুল আলম বলেন, টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে আমরা এখনো ফুটেজ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুই তিনদিনের ভিতরে রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও ৭-৮ জন জড়িত বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠন করা মোট তিনটি কমিটি তদন্তের কাজ করছেন।