প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা অকিল বলেন, বাড়িতে আসা মেহমানকে গাড়িতে তুলে দিতে রাস্তার পাশে দাড়িয়েছিলেন তারা। রাস্তার শ্রীমঙ্গল এর দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসছিলো একটি ট্রাক, আর ভুনবীর চৌমুহনার দিকে থেকে আসছি একটি মোটরসাইকেল, ট্রাক চালক মোটরসাইকেলকে বাচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাস্তার একপাশে দাঁড়ানো লোকজনকে চাপা দিয়ে অন্যপাশের রাস্তার পাশে ড্রেনে ঢুকে পড়ে আটকে যায়। ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান কাজলী বেগম। বাকীরা আহত হয়ে পড়ে থাকেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্বজন আল ইব্রাহিম বলেন, আহত তিনজনের মধ্যে পপি বেগম ও লিমন মিয়া নিহত কাজলীর মেয়ে ও নাতি আর মিলন বেগম তাদের আত্মীয়, তিনি তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তাকে গাড়িতে তুলে দিতেই এই ঘটনার শিকার হন। আহত পপি বেগম ও লিমন বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ মিলন বেগম মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীমঙ্গল থানা যৌথভাবে কাজ করছে।
সাতগাঁও হাইওয়ে থানার ইনচার্জ রাকিব বিন ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ট্রাকের চালক পলাতক রয়েছেন। আমরা ট্রাকটি জব্দ করেছি।