সিলেট ব্যুরো : মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিজের বিভাগের পাশাপাশি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে সাধারণ মানুষের কল্যাণে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে আমাদের ইউনিভার্সিটি বিশ্ব পরিমণ্ডলে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা শুরু করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়ে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হবে আমরা সেটাই চাই।

দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৩ এর অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক শিক্ষার্থীদের প্রতি মেধার সর্বোত্তম চর্চার আহ্বান জানিয়ে এ কথাগুলো বলেন।

দেশের কৃতি শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরও বলেন, ‘শিক্ষার মান, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও গবেষণার ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। আমি সেজন্য মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এম ও রহমান চৌধুরীর সহযোগিতা ও ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই। উচ্চশিক্ষার এই বিদ্যাপীঠের অগ্রযাত্রায় সংশ্লিষ্ট সকলের নিরন্তর সাহায্য ও সহযোগিতায় এ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান সৃষ্টি ও গবেষণায় নেতৃত্ব দিবে। তিনি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ওপর আস্থা রাখার জন্য তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

আজ রবিবার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৩ এর অরিয়েন্টেশান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শিব প্রসাদ সেন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক, স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকনোমিকস্ এর ডিন প্রফেসর ড. তাহের বিল্লাল খলিফা, স্কুল অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজীর ডিন প্রফেসর ড. নজরুল হক চৌধুরী, স্কুল অব ল এর ডিন শেখ আশরাফুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটির সাতটি বিভাগের নিজ নিজ প্রধানবৃন্দ। উল্লেখ্য কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজি, অর্থনীতি এবং আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, ‘জীবনে লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান শিক্ষার্থীদের মতো মেধাবীদের প্রয়োজন। তোমরা যদি সঠিকভাবে লেখাপড়া কর এবং প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পার, তাহলে আমাদের উন্নত দেশের স্বপ্ন পূরণ হবে। তবে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেদের সচ্চরিত্রবান হিসেবেও গড়ে তুলতে হবে। শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জনের মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। আমাদের প্রত্যাশা তোমরা ভালো মানুষ হবে এবং তোমাদের প্রচেষ্ঠায় দেশের উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে।’

২০০৩ সালে মাত্র ১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ৭ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় ইউনিভার্সিটির উচ্চশিক্ষার কার্যক্রম চলছে। প্রত্যেক শিক্ষিত ব্যক্তির সামাজিক দায় আছে এবং এই দায়বোধ থেকেই ২০০৩ সালে ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এক মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পেরিয়ে যাচ্ছে। আজ সিলেট তথা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মানচিত্রে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি একটি উজ্জ্বল স্থান দখল করে আছে।
সকাল থেকেই দলে দলে শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল চিত্তে, রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। নিজ নিজ বিভাগের আয়োজনে যোগ দেয়। সেখানে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের সপুষ্প বরণ, ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন শিক্ষা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের বিদ্যায়তনিক আলোচনা, পরিচিতি পর্ব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আপ্যায়ন। প্রত্যেকটি বিভাগের আয়োজনে শিক্ষক ছাড়াও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশান ও সিনিয়র শিক্ষার্থীরা বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

উল্লেখ্য, কিছুদিনের মধ্যেই ইউনিভার্সিটির স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৩ এর ফ্রেশারস রিসেপসান বা নবীনবরণ বৃহৎ আঙ্গিকে অনুষ্ঠিত হবে। এই সেমিস্টারে বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদে যে সংখ্যক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ভর্তি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৩ এর অরিয়েন্টেশান অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ছাড়াও রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ), লাইব্রেরিয়ানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।