আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নানা নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকে আধুনিক ট্যাংক দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। রাশিয়া যখন দনেতস্ক ও জাপোরিঝিয়াতে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে তখনই এই সুখবর পেলো কিয়েভ।ইউক্রেনের আশা এসব ট্যাংক যুদ্ধে গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কমপক্ষে ৩০টি এম-১ আব্রাম ট্যাংক পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করবে। আর জার্মানি ইউক্রেনকে কমপক্ষে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক সরবরাহ করবে।
রাশিয়াকে প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই ট্যাংকসহ ভারী অস্ত্র দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ডসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে ট্যাংক দিতে রাজিও হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ট্যাংক পাঠানোর এ খবরকে ‘আরেকটি নির্লজ্জ উসকানি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের অস্ত্রের চালান ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রাশিয়ানদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
এখন অব্দি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ইউক্রেনে তাদের ট্যাংক পাঠানোর জন্য অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপ সামলিয়েছে।
ওয়াশিংটন উচ্চ প্রযুক্তির আব্রামের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কথাও উল্লেখ করেছে। এদিকে, বার্লিন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ন্যাটো সরাসরি পক্ষ নেওয়ার বিষয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইউক্রেনে আব্রাম চালান সংক্রান্ত একটি ঘোষণা বুধবারের মধ্যেই আসতে পারে। তারা আরও বলছে, জার্মান কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে জোর দিয়েছিলেন, তারা শুধুমাত্র ইউক্রেনে লেপাড-২ হস্তান্তর করতে রাজি হবে যদি যুক্তরাষ্ট্র এম-১ আব্রাম পাঠায়।
ব্রিটেন এরই মধ্যে বলেছে, তারা ইউক্রেনে চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক পাঠাবে। পোল্যান্ড এ সপ্তাহে জানায় তারা লেপার্ড-২ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাতে চায়, কিন্তু সেগুলো জার্মানিতে তৈরি। বার্লিনকে তাদের রপ্তানির অনুমোদন দিতে হবে এ ট্যাংক পাঠানোর জন্য।