শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইজতেমার প্রথম পর্ব। দুপুরে মাওলানা জুবায়ের পড়ান দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ।
দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে হয় জুমার আজান। ১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় জুমার খুদবা। ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ শুরু হয় দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে এবং নামাজ শেষ ২টা ৫৩ মিনিটে। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্ব।
জুমার নামাজে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ পূর্ণ হয়ে আশপাশের মহাসড়ক ও এলাকায় ইজতেমায় আগত মুসল্লি ও স্থানীয় লোকে পূর্ণ হয়ে যায়।
ইজতেমাকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনটি আলাদা সেক্টরে কাজ করছেন সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য। এছাড়া ইজতেমার মাঠ ঘিরে আছেন র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। পুলিশের নিজস্ব ১৪টি ওয়াচ টাওয়ারসহ র্যাবের নিজস্ব ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পুরো ইজতেমা। মাঠের চারপাশে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন ৩০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩১টি ভবনে রয়েছে ৮ হাজার ৮৮৪টি শৌচাগার এবং ৫৪৪টি গোসলখানা। পানি সরবরাহের করা হচ্ছে ১৬টি গভীর নলকূপ সাহায্যে।
৪টি এগারো কিলোভল্ট ফিডারের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ৪টি জেনারেটর প্রস্তুত রয়েছে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু থাকবে। এছাড়াও মুসল্লিদের পারাপারের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫টি ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে।