স্টাফ রিপাের্টার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক বন্দিরা জেলে করুণ পরিণতির শিকার। সেটা আমরা দেখে এসেছি। তাদের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানাই।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে বেরিয়ে এসব বলেন ফখরুল।
এসময় রাজনৈতিক মামলায় সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া বিএনপির আরেক সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে পরাজিত হবে গণতন্ত্র হত্যাকারীরা।
নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় অবশেষে কারামুক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক মাস পর তারা কারামুক্ত হন। এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টায় তাদের জামিননামা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।
গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরদিন তাদের জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানির জন্য রোববার (৮ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। এদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানিতে তাদের জামিন বহাল রাখা হয়।
এর আগে মোট চারবার ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা।