সিলেটের লালাবাজারে মাসুকের শিলং তীরে সর্বস্বান্ত যুবসমাজ
6, January, 2023, 12:43:32:PM
সিলেট থেকে মোঃ জহুরুল ইসলাম:
অবাধে চলছে মাসুকের ভারতীয় ‘শিলংতীর’ নামক মোবাইলে খেলা। বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে এ জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে তারা। এতে এলাকার নিরীহ ও গরিব লোকজন হচ্ছেন সর্বস্বান্ত। দীর্ঘদিন থেকে সিন্ডিকেট গঠন করে জুয়ার আসর নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে মাসুক ও তার সহযোগিরা।
ভারতীয় ‘শিলং তীর’ নামক এ জুয়া খেলায় মোবাইলে গুটির টোকেন বিক্রি চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন। এলাকার উঠতি বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ক্রমেই বিপথগামী হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে এ জুয়া খেলা চললেও প্রশাসন নীরব। জুয়াড়ি চক্রের সদস্যরা স্থানীয় এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করছে এলাকার সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালাবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে মাসুকের অবৈধ মোবাইল শিলং তীর। লালাবাজার নাজির বাজার রশিদ পুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলে গুটি টোকেন কেটে যাচ্ছে এই চক্র। জুয়াড়িরা তাদের নিয়োগকৃত এজেন্টের মাধ্যমে এ জুয়া খেলা অব্যাহত রেখেছে। জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে জুয়াড়িদের খপ্পড়ে পড়ে রিকশাচালক থেকে শুরু করে, ছোট ছোট দোকানদার, নিন্ম আয়ের লোকজন প্রতারিত হচ্ছেন। জুয়াড়িদের প্রলোভনে পা বাড়িয়ে টাকা পয়সা হারিয়ে অনেকে এখন দিশাহারা। স্বল্প আয়ের লোকজন সারাদিন কষ্ট করে টাকা উপার্জন করলেও তারা ঘরে খরচাপাতি না নিয়ে রোজগারকৃত এসব টাকা দিয়ে মোবাইলে জুয়া খেলছে প্রতিদিন। এ নিয়ে তাদের পরিবারে দেখা দিয়েছে অশান্তি।
জানা যায়, জুয়াড়ি মাসুক তার মোবাইলের মাধ্যমে মোবাইলে তীর খেলার টোকেন ক্রয় করে লোকজন। ১০ টাকায় ৭০০ টাকা, ১শ’ টাকায় ৭ হাজার ৫শ’ টাকা, ১ হাজার টাকায় ৭৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে- এমন প্রলোভন দেখিয়ে তারা এ জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন অসহায় ও গরিব লোকজন। আর ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ হচ্ছে জুয়াড়িরা। এ জুয়া খেলা বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি লালাবাজারসহ এলাকাবাসী জোর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে কোনো কাজ হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
ঘটনার সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় লালাবাজারের জুয়ারী মাসুকের সাথে কথা বললে জবাবে প্রতিবেদককে তিনি জানান, খেলতাম, তবে আজ থেকে আর খেলবো না।
এদিকে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পবিত্র হজ¦ শেষে কর্মস্থলে ফিরে এসে আবারো ঝটিকা অভিযান শুরু করেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমি এতোদিন বাহিওে ছিলাম, এখনি জুয়ারী মাসুককে খোঁজে ধরে আনার ব্যাবস্থা করছি।