আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীনভাবে গরুর ফার্ম স্থাপনের কারণে অভিযান চালিয়ে ফার্মটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনার হরিণটানা থানার আল আকসা নগরে এ অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
স্থানীয়দের অভিযোগ ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ফার্ম মালিককে দু’দিনের মধ্যে আশপাশের ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নিতে বলা হয়। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গরুর ফার্মটি বন্ধ রাখার জন্যও বলা হয়। কিন্তু ফার্মের মালিক দেশের বাইরে যাবেন এমন অজুহাত দিয়ে সময় চাইলে আগামী ৩ জানুয়ারি কাগজপত্রসহ পরিবেশ অধিদপ্তরে দেখা করতে বলা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আবু সাইদ ও পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা গতকাল সরোজমিনে পরিদর্শন করেন বলে বিভাগীয় পরিচালক মো: ইকবাল হোসেন জানান।
জানা যায়, সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বরাবর দেয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হরিণটানা থানাধীন আল আকসা নগরটি ইতোমধ্যে একটি আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ইতোমধ্যে অনেক বাড়িঘর তৈরি হয়েছে আবার অনেকে বাড়ি করার অপেক্ষায় রয়েছেন। এক সময় এলাকাটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হতে পারে। তাছাড়া যেহেতু এলাকাটি খুলনা শহর সংলগ্ন ও বয়রা শ্মশানঘাট এলাকার সন্নিকটে সেহেতু সেখানে আবাসিক এলাকা গড়ে উঠতে খুব বেশি সময় লাগবে না। যখন ওই এলাকা জনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে গড়ে উঠছে ঠিক সেই মুহূর্তে এলাকার ২০ নম্বর রোডে জনৈক আরিফ খান একটি গরুর ফার্ম গড়ে তুলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছেন। এতে একদিকে গরুর গোবর স্তুপ করে রেখে চারিদিকে গন্ধ ছড়ানো হচ্ছে। অপরদিকে, গোবরের গই তৈরি করে রাস্তায় শুকানো হচ্ছে। আবার গরুর গোবর, গোবরযুক্ত পানি, গরুর মলমূত্র ইত্যাদি আশ-পাশের বাড়িতে বা রাস্তায় ফেলার ফলে সর্বত্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে।
তবে এ ব্যাপারে ফার্ম মালিক আরিফ খান বলেন, তার ফার্মের মাধ্যমে কোন পরিবেশ দূষণ হয় না। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বিদেশ থেকে চেকআপ শেষে দেশে ফিরেই পরিচালকের সাথে কথা বলবেন। তবে ফার্ম বন্ধ রাখার কথা বলা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অবশ্য এ ধরণের ফার্মের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলেও তিনি দাবি করেন।