সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে সমুচিত জবাব দেব : ওবায়দুল কাদের
5, December, 2022, 10:46:10:AM
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা, তারা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক। তাদের সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।
সোমবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সেই নির্বাচন আমরা জানি কী ভাবে হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, এগুলো এ দেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি। এখনও সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশে অন্তরায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হোসেন সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না সেটা আমরা আজও জানি না। কোনোদিন জানা যাবে সেটাও এই মুহূর্তে বলা যাবে না। হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানুষপুত্র। গণতন্ত্রই তার জীবনের মূলভৌত। সোহরাওয়ার্দী বলেছেন, ‘শাসনতন্ত্রের পাশে জনগণের রায়ই শেষ কথা।’ আজ জনগণই হচ্ছে আমাদের ক্ষমতার উৎস।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারাদেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পক্ষে, স্বাধীনতার আদেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবে, যে দিন বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। শহীদ সিরাজ উদ্দিন ও শহীদ নিজাম উদ্দিন দুইজনেই সাংবাদিক। এই দুইজনকে কিন্তু আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায় ১০ ডিসেম্বর। বিএনপি তাদের আন্দোলন করার জন্য, কর্মসূচি ঘোষণার জন্য, ঢাকা দখল করার জন্য এই দিনটি কেন বেছে নিল আমরা জানি না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক। সমাবেশ করার অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি ঘোষণা করুক। কিন্তু মানুষ আতঙ্কে আছে কেন? এই আতঙ্কে মানুষ থাকবে কেন? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে। বিরোধী দলের অধিকার আছে, তাই আমরা ছাড় দিয়েছি। এত দিন ছাড় দিচ্ছি কিন্তু তারা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিশৃঙ্খলা করে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে সে অবস্থায় আমরা ছেড়ে দেব না। সমুচিত জবাব দেব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, আজিজুস সামাদ আজাদ (ডন) ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।