মা ঘরে কি খাওয়ার কিছু আছে থাকলে একটু খেতে দাও মা খুব ক্ষুধা লাগছে (ক্ষুধায় কাতর হয়ে বললো আনিকা)। মা বললেন, একটু ধৈর্য ধর না মা, এইতো শ্রাবণ আইলো বলে। এই বলে মুখে আঁচল দিয়ে কেঁদে উঠলো। আজ তিনদিন হলো ঘরে আগুন জ্বলে না। পাড়া প্রতিবেশীরাও খোঁজ খবর নেয় না। সারাদিন খেটে খেটেও কেউ চারডো ভাত পর্যন্ত দেয় না। এর মধ্যে ই শ্রাবণ বাড়িতে এসে মাকে বলল, -মা ও মা দেখে যাও ঐ পারায় একজনের বাড়ি কাজ কইরা এই কয়ডো হানি চাল দিছে। রান্ধন চরাও আজকে খুব তৃপ্তি করে খামু। রাহেলা বেগম বললেন, -হো বাপ, তুই পুকুরে ডুব দিয়া আয় আমি রান্ধন চড়াই। এই বলে চলে যায়। শ্রাবণ ও ডুব দিতে চলে যায়।
এবার পরিচয় আসি আমি শ্রাবণ, আমার একটা বোন আর মাকে নিয়ে থাকি। আমার বাবা মারা গেছে আজ থেকে তিন বছর আগে। তার একটা রোগ ছিল তার পিছনে ই আমাদের যা ছিল সব ফুরে গেছে। এখন আমরা একদিন খাই তো দুই তিন দিন খাইতে পারি না। আমি কালো বলে কেউ আমারে পছন্দ করে না। কেউ কাজও দিতে চায় না। এখন কি করব ভেবে পাচ্ছি না। পরিচয় দেওয়া শেষ। এই দিকে জমিদার বাড়িতে -কি ব্যাপার মামনি তুমি নাকি খাবার খাওনি কিন্তু কেন? আয়নাল বললেন (যিনি পরির বাবা)। পরি বললো, -আব্বু আমি কতো দিন পর গ্রামে এসেছি। আমি গ্রামটা ঘুরে দেখবো। বাট তোমরা তো রাজি হচ্ছো না তাই আমি খাবার খাব না। আয়নাল বলল, -কে আমার মামনীকে নিষেধ করেছে। তোমাকে তোমার রতনা আপু পুরা গ্রাম ঘুরিয়ে আনবে- কথা দিলাম। পরি খুশি হয়ে বলল, -ধন্যবাদ আব্বু এই বলে খাবার খেতে যাই।
এবার পরিচয় আসা যাক ইনি গল্পের নায়িকা পরি, বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে। জমিদারের চোখের মনি। সবাই খুব ভালোবাসে। লেখাপড়ার জন্য শহরে থাকে মামার বাসায়। অনেক দিন পর গ্রামে আসলো। নাম যেমন সুন্দর দেখতে ও তেমন সুন্দর। পরিচয় দিতে দিতে খাওয়া শেষ হলো। শ্রাবন বাড়িতে গিয়ে মা বোনকে নিয়ে আলু ভর্তা, শাক ভাজি দিয়ে ভাত খেল তৃপ্তি সহকারে। খেয়ে দেয়ে চলে গেল কাজে চাল নিয়ে আসার সময় বলেছিল, আজকে সারাদিন আমার বাড়িতে কাজ করন লাগবো। শ্রাবণকে দেখে বাড়ির মালিক বললেন, -চাল নিয়ে যাওনের সময় তো তাড়াতাড়ি ই গেলি, এহন আসতি এতো টাইম লাগলো কেন? এই বলে কয়েকটা গালি দিয়ে চলে গেল। শ্রাবণ এখন আর কাঁদে না, আর কষ্ট ও পায়না, ওর সব সহ্য হয়ে গেছে। কিন্তু এই কথা পরি শুনে বলল, রতনা আপু এই ছেলেটাকে এতো নিম্ন ভাষায় গালিগালাজ করছে কেন? ওদের এটা প্রত্যেক দিনের রুটিন হয়ে গেছেরে পরি। সবাই ওদের গালিগালাজ করে। পরি বলল, তাহলে কাজ করে কেন আপু? রতনা বলল, তাহলে ওরা খাবে কি! ওদের এই কথা শুনে সারাদিন কাজ করেও তো পয়সা পায় না। একদিন খাইতো আরেক দিন খেতে পায় না। পরি অবাক হয়ে বলল, তাহলে গ্রামের মানুষ ওদের সাহায্য করতে পারে না। আর আব্বুর কাছেও তো সাহায্য চাইতে পারে কি বা আমাদের বাসায় কোন কাজ দিতে পারে? রতনা বলল, হের মায়ে মামুর কাছে গিছিলো কিন্তু মামু কোন কাজ দেয়নাই গ্রামের কেউ ওদের দেখতে পারে না। পরি অবাক হয়ে বলল, আমার আব্বু এরকম করে সবার সাথে? রতনা বলল, হয়তো পরি তোমার খারাপ লাগবে তাও বলছি মামু শুধু দেখেন কার কি আছে এই দেখে সাহায্য করেন। যদি কিছু টাকা থাকে তাকেই সব কিছু দিয়ে সাহায্য করেন। আর এদের মতো গরিবদের সাহায্য করে কি লাভ হয়বো বলো। পরি বলল, এদের ক্ষেত্রেই কেন এরকম করে? রতনা একটু অবাক হয়ে যায় বাবা আর মেয়ের মধ্যে কত পার্থক্য। তারপর বলল, আসলে যাদের একটু হলেও টাকা আছে তারা নিজেরাও ভোট দিবে। আরেক জনকে ও ভোট দেওয়ার জন্য বলবে কিন্তু শ্রাবণ এর মতো গরিবরা তো আর তা পারবে না। পরি আর কিছু বলতে পারে না তার আব্বু এরকম তা সে জানতো না কেমন যেন মায়া লাগছে ছেলেটার উপর। পরি এখনও দেখেনি শ্রাবণকে। তাই রতনাকে নিয়ে কাজের জায়গায় যাই। ঐখানে গিয়ে শ্রাবণকে দেখে মনে মনে বলল কালো তাও কি মায়াময় চেহারা এই ছেলেকে সবাই ঘৃণা করে। পরি সামনে গিয়ে বলল, তোমার নাম কি? শ্রাবণ বলল, আমার নাম শ্রাবণ। পরি অবাক হয়ে বলল, তুমি শুদ্ধ ভাষা জানো? শ্রাবণ বলল, হুম মেম সাহেব অল্প অল্প পড়েছি এই আরকি। পরি বলল, তুমি কোন ক্লাসে পড়? শ্রাবণ বলল, ম্যাডাম ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়ছি তার পর আব্বায় মারা গেল। এখন সংসারটা আমার ই সামলান লাগবো তাই পড়াশোনা বাদ দিছি। পরি বলল, তোমাকে সবাই এভাবে বকা দেয় তুমি প্রতিবাদ করো না কেন? শ্রাবণ বলল, গরিবদের জন্য প্রতিবাদ করে কি হবে পাইনা একদিন ভালো করে ভাত এহন যদি প্রতিবাদ করি আমাদের না খেয়ে মরা লাগবো। আর মেম সাহেব আমাদের সবার কথা শুনে শুনে অভ্যাস হয়া গেছে। পরি আর কিছু না বলে রতনা কে নিয়ে ঐখানে থেকে চলে যায়। পথের মধ্যে পরি রতনাকে বলল, রতনা আপু শ্রাবণদের বাড়ি কোন দিকে? রতনা বলল, কেন পরি তুমি কি ঐ বাড়ি যাওয়ার কথা বলতাছো? মামু কিন্তু প্রচুর রেগে যাবে জানতে পারলে। পরি বলল, তুমি চুপ কর আপু আর আমাকে নিয়ে যাও আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি ওদের একটু দেখবো। রতনা পরিকে নিয়ে যায়। এখানে গিয়ে দেখে শ্রাবণের বোন তার মায়ের মাথার বিল দিচ্ছে। পরি ভিতরে গিয়ে শ্রাবণের মাকে সালাম দেয়। শ্রাবণ এর মা সালামের উত্তর নিয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে এতো সুন্দর চেহারা মাইয়াটা কে। চিন্তা ভাবনার মাঝেই রতনা বলল, আন্টি পরি জমিদারের নাতনী আর চেয়ারম্যান এর মেয়ে। শ্রাবণের মা বললো, বস মা বস তোমাগো মতো তো আমাদের চেয়ার নাই কোনে বসতে দিমু কও যদি পিড়িতে একটু বসতে? পরি বলল, আন্টি আপনি এতো ব্যস্ত হবেন না আমি একটু গ্রাম ঘুরতে বের হয়েছি। তাই এখানে দিয়ে যাওয়ার সময় একটু বাড়িতে উঠলাম। রাগ করেছেন আন্টি? শ্রাবণের মা বললেন, আরে পাগল মেয়ে রাগ করবো কেন। আমি তো খুশি হইছি, বহুত খুশি। আমার বাড়িতে তো একটা কাক পক্ষিও উঁকি দেয় না মইরা গেছি না বাইচা আছি। বস তোমাঘরে কিছু খাইতে দিয় গরিব এর ঘরে কিছু ই নায় রে মা। এই বলে উঠে যাইতে ধরলে পরি আটকিয়ে বলল, আন্টি অন্য সময় খাব আজকে একটু আড্ডা দেব আপনার সাথে কেমন আন্টি? রতনা অবাক হয়ে যাচ্ছে যতো এই মেয়ে টিকে দেখছে। ওর বাপ খোঁজ খবর নেয় না আর তার মেয়ে সেই বাড়িতে ই কি সুন্দর সবার সাথে হাসা হাসি করছে। এই দিকে শ্রাবণের মাও তাই ভাবছে ভেবে দির্ঘ শ্বাস ফেলে। মানুষ সত্যিই অদ্ভুত এক প্রাণি। পরি আনিকাকে বলল, তুমি কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়ছো আনিকা? আনিকা বলল, এইতো আপু সেভেন পর্যন্ত পড়ছি। তার পর আমার খরচ বাড়লো তাই পড়াশোনা বাদ দিয়া দিছি। এমতেই ভাইয়ে সারাদিন খেটে তাও একদিন খাচ্ছি যদি পড়াশোনা করি তাহলে না খেয়েই মরন লাগবো আপু। পরির শুনে খুব কষ্ট হয় মানুষ কতো কষ্ট করছে। তার পর বলল, তোমার চাচারা নাই? তখন শ্রাবণের মা বলল, অভাগা যায় যে দিকে কপাল পুড়ে সে দিকে মা। শ্রাবণের বাপ মরনের পর তারা সেই যে আছিলো আর হের পর আহে নাই। আমাগোরে বাড়িতে আইলো হে গরো তো আবার অমঙ্গল হবে। নেও মা এই টুকুন চিরা খাও তোমরা। এর পর ওরা কিছুক্ষণ গল্প করে চলে যায়।
পরি রাতে শুয়ে থেকে ভাবতে থাকে কি করা যায় এটা তো ভালো ভাবে ই বুঝতে পারছে তার বাবা কোন সাহায্য করবে না শ্রাবণ দের। হঠাৎ পরির কিছু মনে হওয়ায় ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল।
পরের দিন সকালে শ্রাবন ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালার কাছে কান্নাকাটি করে বলে, আল্লাহ তুমি রিযিক দাতা, তুমি দয়াময়, তুমি অসীম ক্ষমতাশীল, তুমি আমাদের সবাইকে হেফাজত কর। আল্লাহ আমি যে হালাল উপার্জন করে আমার মা বোন এর মুখে দিতে পারি আল্লাহ। আমিন বলে মোনাজাত শেষ করে কাজের জন্য বাহিরে যাই।
এই দিকে পরি ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে সাদে হাঁটাহাঁটি করার সময় হঠাৎ নিচে চোখ যায় দেখে শ্রাবণ কোথাও যাচ্ছে। তাই জিজ্ঞেস করল, তুমি কোথায় যাচ্ছ শ্রাবণ? শ্রাবণ বলল, মেম সাহেব, এই তো কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম যদি কোথাও কাজ পাই। তখন পরি বলল, তোমাদের আর কষ্ট করতে হবে না শ্রাবণ। আচ্ছা শ্রাবণ তুমি কি শহরে যেতে চাও? শ্রাবণ বলল, আমি শহরে গিয়ে কি করবো মেম সাহেব, কে আমাকে কাজ দিবে? পরি বলল, তোমাকে এই টেনশন করতে হবে না শ্রাবণ, তুমি শুধু রাজি হলেই হবে। শ্রাবণ বলল, আমি শহরে গেলে আমার মা বোনকে কে দেখবে, ওরা তো নিঃস্ব হয়ে যাবে? পরি বলল, তোমাকে কি আমি বলেছি মা বোনকে রেখে যেতে, ওরাও যাবে তুমি কোন টেনশন করো না। শ্রাবণ বলল, কিন্তু শহরে থাকার মতো আমার তো টাকা পয়সা নাই। গ্রামেই একদিন খাইতো তিন দিন খাইতে পাই না, আমার সাথে কি মজা করছেন মেম সাহেব? পরি বলল, আমাকে কি তোমার এমন মনে হচ্ছে। আমি তোমার জন্য কিছু না কিছু করবো প্রমিজ। কিন্তু তোমাদের শহরে যাওয়ার কথা কাউকে বলবে না। এই দিকে কাউকে আসতে দেখে পরি ভেতরে চলে যায়। শ্রাবণ ও অবাক হয়ে কাজ খুঁজতে চলে যায়।
পরি বাসায় গিয়ে রতনা কে এই বাসায় আসার জন্য খবর পাঠায়। আধা ঘন্টার মধ্যে রতনা আসে। রতনাকে রুমে নিয়ে গেল গিয়ে বলল, রতনা আপু তুমি কি আমার জন্য কিছু করবে? রতনা বলল, তুমি বলবে আমি করবো না এটা একটা কথা হলো? পরি হাসি দিয়ে বলল, তাহলে একটা দেশী মুরগী আর তিন কেজি চাউলের ব্যবস্থা করে দাও আপু। সাথে সব মসলা ইত্যাদি ইত্যাদি আমি শ্রাবণদের ভাষায় নিয়ে যেতে চাই, কিন্তু লুকিয়ে। রতনা অবাক হয়ে বলল, এতো কিছু দিয়ে তুমি কি করবে পরি আর মামু জানতে পারলে খুব রেগে যাবে? পরি হেসে বলল, সেই জন্য ই তো তোমাকে বলছি কিছু একটা কর আর এই নাও দুই হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে যা হবে সব কিনে আনাবে আজকে দুপুরে আমরা শ্রাবণদের বাসায় খাব। রতনা আর কিছু বলল না।
এদিক দিয়ে পরির মা যাওয়ার সময় সব শুনতে পায়। তাই ভিতরে মেয়ের কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেয়ে বলল, জানিস মা আজকে আমার খুব ভালো লাগছে অন্তত বাপের মতো নির্দয় আমার মেয়ে হবে না যা করবি সাবধানে মা। আর কোন কিছুর জন্য যদি আমাকে প্রয়োজন হয় বলবি। আমি সাহায্য করবো। এই বলে তিনি চলে যান। রতনাও চলে যায়। এক ঘন্টার মধ্যে সব কিছু যোগাড় করে লুকিয়ে শ্রাবণদের বাড়ি হাজির হয় দু’জন। বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখে আনিকা ঝাড়ু দিচ্ছে। তাই বলল, আনিকা- আন্টি কই? একটু ডেকে দাও না। আনিকা আচ্ছা বলে রুমে গিয়ে ওর মাকে ডেকে আনে। এতো সকালে চেয়ারম্যান এর মেয়েকে দেখে অবাক হয়ে বলল, কি ব্যাপার মা, কিছু অয়ছে এতো সকালে আমার বাসায় কেন? পরি বলল, আন্টি আমি কি আপনার মেয়ে না। তাহলে মেয়ের আসতে কি সময় অসময় আছে। আজকে আমি আপনার হাতের রান্না খাবো খুব ইচ্ছে হয়েছে। এই বলে ব্যাগ হাতে দেয়। কিন্তু শ্রাবণের মা ব্যাগের ভেতর জিনিস দেখে অনেক না করছে কিন্তু পরির এক কথা। যদি আমাকে মেয়ে ভাবেন তাহলে নিতেই হবে আর কি করার। শ্রাবণের মা তাড়াতাড়ি বাটা ঘোসা করে রান্না উঠায় দেয়।
এগারোটার দিকে শ্রাবণ কোন কাজ না পেয়ে গোমরা মুখ করে বাড়িতে আসে। বাড়ির ভিতরে থেকে তার মা সহ কিছু মেয়ের হাসির শব্দ শুনে অবাক হয়ে যায়। কতোদিন এরকম হাসি খুশি দেখে না তার মা-বোনকে। ভেতরে গিয়ে আরো অবাক হয়ে যায় এতো চেয়ারম্যান এর মেয়ে। কোন রকম নিজেকে কন্ট্রোল করে বলল, মেম সাহেব আপনি এখানে? পরি বলল, হুম, শ্রাবণ সাহেব আজকে একটু আন্টির হাতের রান্না খাবো তাই আসলাম। শ্রাবণ ভাবনায় পড়ে যায় তার জানামতে ঘরে কিছু নাই, কি দিয়ে খাওয়াবে। তারপর দেখে রান্না ঘর থেকে শব্দ আসছে। রান্না ঘরে গিয়ে তো আর অবাক হয়ে বলল, মা তুমি মুরগী চাউল কোথায় পেলে? শ্রাবণের মা বললেন, আর বলিস না বাবা, পরি মা আমাদের জন্য আনসে। কতো না করলাম হুনলো না, নাকি আমার রান্না খাবে। শ্রাবণ আর কিছু না বলে গোসল দিতে চলে যায়। আর পরির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আজকে তো অনাহারে ই কাটতো তাদের। আসলে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন।
এই দিকে চেয়ারম্যান বাড়িতে কি ব্যাপার পরির মা পরিকে দেখছি না যে কোথায় গেছে? পরির মা একটু ভয় পেয়ে গেলেন, কিন্তু প্রকাশ করলেন না তিনি বললেন, আপনি ই তো গ্রাম ঘুরতে বললেন তাই রতনাকে নিয়ে খাবার খেয়ে বের হয়েছে। দুপুরে রত্নাদের বাড়ি খাবে। আয়নাল হক আর কিছু বললেন না রতনা আছে দেখে নিশ্চিত হলেন। রান্না ঘর থেকে বের হয়ে গেল। পরির মাও শান্তির নিশ্বাস ছাড়লেন।
লেখক: আদিবা চৌধুরী
|