রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে খোলা সয়াবিনের দাম। এছাড়া দাম বেড়েছে চাল ও বুটডালের। তবে কমেছে পোলট্রি মুরগি ও কিছু সবজির দাম। বোতলজাত সয়াবিন, ডিম, ডাল ও মাছ-মাংসের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা কমে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একমাস আগেও বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৭০-১৮০ টাকায়। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে পাকিস্তানি মুরগি ১০-২০ টাকা দাম কমে ২৫০-২৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা মাসখানেক আগে ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। তবে দেশি মুরগি আগের মতোই ৪১০-৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিও বাজারের মুরগি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে পোলট্রি মুরগির দাম কমেছে। খাদ্যের দাম না কমলেও যে হারে মুরগির দাম কমছে তাতে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৮ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৬ টাকায় বিক্রি হলেও ভালোমানের খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে বেড়ে ২০০ টাকা এবং ১৬০ টাকার তেল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লালবাগ বাজারের তেল বিক্রেতা আজাহার আলী বলেন, সরকার সয়াবিনের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিলেও দোকানে মজুত থাকা তেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা সয়াবিনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়েছে।