স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : ৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এম এ কাশেমের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ৪ আগস্ট এম এ কাশেম ও রেহেনা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিনের শর্তে বলা হয়, তারা আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না ও অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না।
এরপর ১৩ নভেম্বর এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে রেহেনা রহমানের জামিন বহাল রাখেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দিয়েছিলেন। সবশেষ আপিল বিভাগ এম এ কাশেমের জামিন বহাল রাখলেন।
এর আগে ২ আগস্ট অর্থ আত্মসাতের মামলায় এম এ কাশেম ও রেহেনা রহমানকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।