স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : নিখোঁজের দুই দিন পর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ফারদিনের পুরো মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাত পাওয়া গেছে। বুকের ভেতরে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পেরেছি, এটি অবশ্যই হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
এদিকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় আমরা বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এরই মধ্যে তার বান্ধবী, যাকে রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে নামিয়ে দিয়েছিল ৪ নভেম্বর রাতে তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাকেও আমরা সন্দেহের বাইরে রাখছি না।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনার পেছনে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আমরা কাজ করছি। বান্ধবীকে নামিয়ে দেওয়ার পর সে কোথায় কোথায় গিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেসব বিষয় তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে বোঝা যাবে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি এর পেছনে অন্য কোনও ঘটনা ঘটেছে।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বলেন, ফারদিনকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই। বিচার না পেলে কোন বাবা তার ছেলেকে বুয়েটে পড়তে পাঠাবে না।