আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আনন্দ উল্লাসে সময় কাটাচ্ছেন ডাঃ ফারহানা মমতাজ। ফুটবল প্রতীকে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩৫১৮৪টি।

নির্বাচনে লজ্জাজনক ব্যবধানে হেওে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি। হাঁস প্রতীকে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৯০০টি।

অপরদিকে, একেবারে নীরব হয়ে গেছেন অপর প্রার্থী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোমেনা আক্তার নয়ন, কলস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৫৩৫ ভোট।

সদ্যসমাপ্ত এ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদটির জন্য প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন থাকলেও  প্রচারণা থেকে বিরত থাকেন রানু আক্তার নামের আরেক প্রার্থী। তবে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে তিনিও পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।

নির্বাচনী প্রচারনায় ফারহানা, বানাজা এবং মোমেনার তৎপরতা দেখে তিনজনকেই ধরা হয়েছিল হেভিওয়েট প্রার্থী।

বিজয়ী ডাঃ ফারহানা মমতাজের রাজনৈতিক তেমন পরিচিতি না থাকলেও তাঁর প্রয়াত পিতা শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দাপুটে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম বকুলের মেয়ে হিসেবে বাবার পরিচয়কে পুঁজি করেই মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
 
তাছাড়াও বিগত করোনা মহামারীর সময়ে ঝুঁকি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি।

সবমিলিয়ে একজন উদীয়মান ক্লীন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে আমজনতার অসীম সমর্থন আদায় করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি তাঁকে।

পক্ষান্তরে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি বানাজা বেগম নিশির ছিল ব্যাপক রাজনৈতিক পরিচিতি। তিনি বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। যে কারণে বিজয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু শোচনীয় পরাজিয়ে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ক্ষোভের আগুনে জ্বলছেন। নির্বাচন পরবর্তী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে এবং জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে একেবারেই নির্বাক নিশ্চুপ হয়ে গেছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী মোমেনা আক্তার নয়ন। উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি মন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিলেন তিনিও। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে পরাজয়টা এমন ভাবেই হয়েছে যার হিসেব মিলছেনা কিছুতেই।

প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর(বুধবার) দ্বিতীয়  বারের মত অনুষ্ঠিত হয়  দক্ষিণ চট্টগ্রামের নবগঠিত এই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রাার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, নৌকা প্রতীকে তিনি  পেয়েছেন ২১০২০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে স্বতন্ত্র  প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৯৮৮ ভোট।
 
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আমীর আহমেদ চশমা প্রতীকে ১৮২৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
 
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে মহিউদ্দিন মুরাদ উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ১৭০১৩ ভোট।