দুলাল কৃষ্ণ নন্দী, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে হানিমুনে এসে স্ত্রীর প্রেমিকার মারধরের স্বীকার হয়েছেন স্বামী মনিরুল ইসলাম । এসময় হামলাকারী প্রেমিকের সাথে তার স্ত্রী নুরে জান্নাত পালিয়ে গেছেন

মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ফ্রাই মার্কেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মনিরুলকে হেফাজতে নিলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি স্ত্রী নুরে জান্নাত।

মারধরের স্বীকার পর্যটক মনিরুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার কেজি স্কুল সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

মনিরুল ইসলাম জানান, আমি সিঙ্গাপুরে থাকি । দেশে আসার পর গত শুক্রবার পারিবারিক ভাবে রগুনার ধলুয়া ইউনিয়নের হারুন-অর-রশিদের মেয়ে নুরে জান্নাতকে বিয়ে করেছি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আমাদের মির্জাগঞ্জ মাজারে যাওয়ার কথা থাকলেও স্ত্রীর আবদার মেটাতে আমরা কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছি। বিকালে সৈকতে ঘোরাঘুরির পরে সন্ধ্যায় আমি ও আমার স্ত্রী হোটেল কক্ষে চলে যাই। পরে রাতে স্ত্রীর অনুরোধে হোটেল থেকে সৈকতের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ফ্রাই মার্কেটে যাই । এসময় স্ত্রীর অনুরোধে ফ্রাই মার্কের পিছনে অন্ধকারে গেলে হঠাৎ চার থেকে পাঁচজন লোক আমার উপর হামলা চালায়। এসময় আমি বাঁচার চেষ্টা করি এবং স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরে ওখানে থেকে চলে আসতে চেয়েছি । কিন্ত আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে কোনো প্রকার ডাক চিৎকার ছাড়াই হামলাকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান, রাতে আমরা তাদের স্বামী- স্ত্রী দু`জনকে সৈকতে নামতে দেখেছি। এর একটু পরেই দেখি ওই লোকটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ বক্সের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

নুরে জান্নাতের বাবা হারুন-অর-রশিদ জানান, আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে
সঙ্গে বরগুনা থেকে কুয়াকাটায় চলে এসেছি। তবে আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে তা এখনো জানতে পারিনি। জামাইকে নিয়ে এখন বাড়িতে যাচ্ছি। পারিবারিক ভাবে বিষয়টি আমরা দেখবো।

নুরে জান্নাতের পরিবার বলছে, নুরে জান্নাতের অন্য একটা ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত শুক্রবার নুরে জান্নাতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। এতে ওই ছেলের সাথে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।

কুয়াকাটা জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের স্বীকার পর্যটককে উদ্ধার করি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে আমাদের কয়েকটি টিম আশেপাশে খোঁজাখুজি করেও তার স্ত্রীকে পাওয়া সম্ভব হয়নি । মনিরকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।