স্বাধীন বাংলা ডেস্ক সেঞ্চুরি হাঁকানোটা একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল বিরাট কোহলির। অথচ গত তিন বছরের অধিক সময় ধরে তার ব্যাটে সেঞ্চুরি খরা। শুধু সেঞ্চুরি নয়, রানের দেখাও পাচ্ছিলেন না তেমন। রান খরার কারণে দল থেকে বিশ্রামের অজুহাতে বাদ পড়তে হয় তাকে। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এশিয়া কাপে এসে নিজের ছন্দ খুঁজে পেলেন কোহলি। একটি ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই বলার মতো রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। এমনকি বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে এসে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিরা ছুঁয়েছেন তিনি।
৬১ বলে ১২টি চার আর ৬টি ছক্কায় ১২২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবারই প্রথমবার সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন কোহলি। আর তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে ৭১তম সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। যা ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো ব্যাটারের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সেঞ্চুরি সংখ্যায় পন্টিংয়ের পাশে বসলেন কোহলি। তার সামনে এখন কেবলই শচীন টেন্ডুলকার। ভারতী এই কিংবদন্তির নামের পাশে রয়েছে একশো সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির উদযাপনের অংশ হিসেবেই গলায় ঝোলানো লকেটে চুমু খেয়েছেন কোহলি। পরে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে স্টার স্পোর্টসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সেঞ্চুরিটা স্ত্রী আনুশকা শর্মা ও মেয়ে ভামিকার জন্য।
তিনি বলেন, আসলে আমি অবাকই হয়েছি। এ সংস্করণে সেঞ্চুরি পাব, ভাবতেই পারিনি। আসলে অনেক কিছুর সমন্বয় এটি। দল আমাকে সহায়তা করেছে। আমি জানতাম, বাইরে অনেক কিছুই ঘটছে। লকেটে চুমু খেয়েছি; কারণ, আপনি আমাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন শুধু একজনের জন্যই। সে আমাকে অনেক কিছুই অন্যভাবে দেখতে শিখিয়েছে। সে আনুশকা। আমার এই সেঞ্চুরি তার জন্য, আমাদের ছোট মেয়ে ভামিকার জন্যও।
কোহলি শেষবার শতকের দেখা পেয়েছিলেন ইডেনে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পিংক বল টেস্টে। সেটা অবশ্য ২০১৯ সালের নভেম্বরের কথা। প্রায় তিন বছরের ব্যবধানে কোহলির ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও এসেছে বড়-সড় পরিবর্তন। এই সময়ে তিন সংস্করণের ক্রিকেট থেকেই নেতৃত্ব ছেড়েছেন তিনি।