স্বাধীন বাংলা ডেস্ক সাত সন্তানে মিলে ছাদনাতলায় হাজির বাবার বিয়ে ভাঙতে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো থ সকলে। আগের পক্ষের স্ত্রী এসে বিয়ে ভেঙে দিচ্ছে স্বামীর। এমন ঘটনা সিনেমা-সিরিয়ালে আজকাল নতুন কিছু নয়। তবে এবার যে ঘটনার কথা জানাব, তা কিন্তু হার মানাতে পারে অনেক হিন্দি সিনেমাকেও। একেবারে সাত সন্তানে মিলে ছাদনাতলায় হাজির বাবার বিয়ে ভাঙতে। ঘটনাটি ঘটেছে উওরপ্রদেশে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো থ সকলে। পাত্র উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর শফি আহমেদ। নিয়ম মেনেই এগোচ্ছিল বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান। হঠাৎই তার মাঝে বিয়ের মণ্ডপে ঢুকে বাধ সাধে পাত্রের সাত সন্তান। সঙ্গে স্ত্রীও! তাঁদের দেখে রীতিমতো হতভম্ব শফি।
এই ঘটনায় চক্ষু চড়ক গাছ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেরই। জানা যায়, যিনি পাত্রকে স্বামী বলে দাবি করছেন, তিনি পাত্রের চতুর্থ স্ত্রী। এর আগেও আরও তিনটি বিয়ে করেছেন শফি। ওই মহিলা আরও বলেন, এতদিন সন্তানদের জন্য মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন শফি। কিন্তু অনেকদিন দিন ধরে সেই টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন তিনি। এরপরই স্বামী যে পঞ্চমবার বিয়ের কথা জানতে পারেন তিনি। এবং সন্তানদের নিয়ে বিয়ের মণ্ডপে হাজির হন তিনি।
এদিকে এই ঘটনার পর বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যান কনে। তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পাত্রের। সেই বচসাকে কেন্দ্র করে কনের বাড়ির লোকজন বেধড়ক মারধর করা হয় বরকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শফির স্ত্রীরা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।