মোঃ নূরুজ্জামান জুয়েল:
বাংলাদেশের আরোও একজন স্বনামধন্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ময়মনসিংহের সিআইপি আমিনুল হক শামীমের কন্যা মাশার চোখের রেটিনার ৩৩ ভাগ চিরতরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইদানিং প্রায় বিভিন্ন নামকরা ডাক্তার এবং বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভূল চিকিৎসায় অনেক রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অথবা অপচিকিৎসার কারণে রোগীরা বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ( সিআইপি ) মোঃ আমিনুল হক শামীম এর কন্যা মাহজাবীন হক মাশার চোখের সমস্যা শুরু হলে তিনি চলতি বছর জুন মাসে ঢাকায় অবস্থিত দীন মোঃ চক্ষু হাসপাতাল এন্ড রিসার্স সেন্টার (সোবহানবাগে) চিকিৎসার জন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাক্তার দীপক নাগ এর অধীনে তার চোখ দেখানো হলে ডাক্তার দীপক নাগ চোখ পরিক্ষার পর তার চোখে লেজার লাগানোর পরমর্শ দেন।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাশার চোখে লেজার লাগানো সম্পন্ন হয় । লেজার লাগানোর পর শুরু হয় বিভিন্ন বিপত্তি। এর মধ্যে অন্যতম হলো চোখে অন্ধকার দেখা । মাশাকে দ্রুত নেওয়া হয় জাতীয় চক্ষু ইন্সটিটিউটে । সেখানে ডাক্তারগণ মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে মাশার চোখ পরিক্ষা করেন। তারপর বোর্ডের সদস্যগন বলেন, চোখে লেজার স্হাপনের কারনে মাশার চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।

এরপর দ্রত মাশার পিতা মোঃ আমিনুল হক শামীম উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে নিয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্ৰাদ হাসপাতালে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক গণ তার চোখ পরিক্ষা করে জানান যে, ভূল চিকিৎসার কারণে তার রেটিনার ৩৩ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এই কারণে গত বুধবার ১০ আগষ্ট দুপুরে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মাশার ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সামিউল হক সাফা ডাঃ দীপক নাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালী মডেল থানাকে এফআইআর ভুক্ত করার জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরিচালনা করেন ময়মনসিংহের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামান, এডঃ পীযুষ কান্তি সরকার ও এডঃ এবিএম নূরুজামান খোকন।