মহসিন পারভেজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ রেল স্টেশন কালোবাজারিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বরত কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও বুকিং ক্লার্কদের যোগসাজশে আগাম টিকিট উত্তোলন করে টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। টিকিটের সিন্ডিকেট করে প্রতি মাসে যাত্রীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বলদা রমজান সহ ৪ থেকে ৬ জনের একটি চক্র ও স্টেশনের টিকিট  কাউন্টারের আশেপাশের কিছু দোকান মালিক  দীর্ঘদিন ধরে আশুগঞ্জের রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও বুকিং ক্লার্কের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট কিনে নিয়ে টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। পরে এসব টিকিট ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটগামী আন্ত নগর এবং তিতাস ট্রেনের যাত্রীদের কাছে তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন।

যাত্রীদের মাধ্যমে জানা যায়, টিকিট কাউন্টারে গেলে কাউন্টার থেকে বলা হয় টিকিট নেই। প্রতিদিন এই স্টেশনে প্রায় ৯০ শতাংশ টিকিট চলে যাচ্ছে কালোবাজারিদের হাতে, যাত্রীদের এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দৈনিক টিকিটের পাশাপাশি অগ্রীম টিকিটের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আন্তঃনগর ট্রেন সহ লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা রীতিমত তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে প্রতিটি টিকিট দ্বিগুণ কিংবা তিন গুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায় আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে ও আশপাশের কিছু দোকানে ও বিক্রি হচ্ছে রেলের টিকিট। টিকিট কালোবাজারি রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি আন্তরিক হতো তাহলে এ অবস্থা সৃষ্টি হতো না বলে সাধারণ মানুষসহ ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান।

এবিষয়ে জানার জন্য স্টেশন মাস্টারের বক্তব্য নিতে গেলে স্টেশন মাস্টার সহ আশুগঞ্জ রেল স্টেশনে কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি।