স্বাধীন বাংলা ডেস্ক জমি সংক্রান্ত মামলায় আদালতে হাজিরা ছিল। তবে এজলাসে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন আসামি। ভীষণ ভয় পেয়ে যান বিচারক। দ্রুত ছেড়ে যান বিচারকক্ষ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আইনজীবীদের মধ্যেও।
গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৪ আদালতে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঘটে এ ঘটনা। এসব নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি মকবুল হোসেন সবুজ।
তিনি জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের ৪৫ বছরের মো. মনসুর। শুনানি শেষে বিচারক রাগিব নূর জামিন আবেদন নাকচ করে মনসুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় এজলাসে দাঁড়িয়ে মনসুর তার সঙ্গে অস্ত্র আছে বলে জানায়। বিষয়টি শোনামাত্র এজলাস কক্ষ ছেড়ে চলে যায় বিচারক রাগিব নুর। পরে কোর্ট পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে। এসময় মনসুর তার সঙ্গে থাকা অস্ত্রটি বৈধ বলে দাবি করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার জয়দেবপুর থানার একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন মনসুর। বিচারক জামিন নাকচ করলে, মনসুর তার সঙ্গে অস্ত্র আছে বলে জানায়। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
‘আদালতে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা বেআইনি, সেটা হোক বৈধ। তার বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আদালতের এক পেশকার বলেন, ‘অস্থায়ী জামিনে ছিলেন মনসুর। রোববার স্থায়ী জামিন নেয়ার জন্য তিনি আদালতে আসেন। বিচারক জামিন নাকচ করার সঙ্গে সঙ্গে মনসুর এজলাস কক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকে আমার কাছে গুলিভর্তি অস্ত্র আছে। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বিচারক এজলাস থেকে বেরিয়ে যান। পরে কোর্ট পুলিশ অস্ত্রটি জব্দ করে।’
মনসুরের আইনজীবী আবদুর রশিদ বলেন, ‘জয়দেবপুর থানায় হওয়া একটি মামলার হাজিরা দিতে এসেছিলেন মনসুর। তিনি এতদিন অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামি জানতেন না আদালতে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।’