এবারের বন্যায় সিলেটের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ঠিক কত সংখ্যক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তা গণনার সুযোগ নেই। সিলেটের প্রতিটি এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বীতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি মানুষ আশ্রয় নেওয়ায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তীব্র খাদ্যসঙ্কটে ভুগছেন বন্যার্তরা। এছাড়া অনেকে বাসার নীচতলা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ২য় তলায় অবস্থান করে পড়েছেন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে। বিদ্যুত না থাকায় ও যাতায়াতের রাস্তায় বেশী পানি থাকায় অনেকে বাজার করতে পারছেন না। প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা না পৌঁছায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা খাদ্যসঙ্কট মেটাতে নিজেদের জমানো সঞ্চয় আর মানুষের সহায়তার দিকে পথ চেয়ে আছেন।
তবে সোমবার থেকে নগরীর ৫৬টি কেন্দ্রে জন্য শুকনো খাবার হিসেবে গুড় ও চিড়া বিতরণ করে আসছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ১২২ বছরের সর্বোচ্চ বন্যার কবলে পড়েন সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ। এক মাসের ব্যবধানে ২য় ধাপের এমন ভয়াবহ বন্যায় দিশেহারা মানুষ। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র বন্যায় একাকার। প্রথমদিকে যাদের বাসা-বাড়ীতে পানি উঠেছিল শুরুতেই তারা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেন। কিন্তু এবারের বন্যার ভয়াবহতা ক্রমশ বাড়তে থাকায় শেষের দিকে বন্যায় আক্রান্তরা অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা খুঁজে পাননি। কেউ আত্মীয় ও পরিচিতজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ নিচ তলা থেকে বহুতল ভবনের উপর তলার দিকে শিফট হয়েছেন। যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ায় ত্রাণ কার্যক্রমেও ভাটা পড়েছে।
বেসরকারী, সামাজিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করা হলেও সরকারীভাবে খাবার দিতে কোন উদ্যোগ না থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।