প্রায় দু’বছর ধরে চলছে সিলেটের বিশ্বনাথ মরা সুরমা, খাজাঞ্চি, কাপনা ও মাকুন্দা নদী খনন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম আর অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশও হয়েছে। বিশেষ করে ‘মাকুন্দা নদীটি অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে নদীগর্বে বিলিন হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক।
ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক ফুট সড়কের অর্ধেক অংশ নদীগর্বে বিলিন হয়ে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অর্ধেক অংশ দিয়ে লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করলেও বর্তমানে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
নদীগর্বে বিলিন হওয়া সড়কটি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা বাজার থেকে আশুগঞ্জ বাজার যাওয়ার পথিমধ্যে পাঁচঘরি গ্রামের মধ্যস্থান। অপরিকল্পিত নদী খননের কারণে সড়কটি ভেঙ্গে নদীগর্বে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়াও এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় লোকজন ছবিসহ তাদের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। তাদের মতে নদীর অপর পাড়ে চরভরাট খনন না করে সড়কের পাশ দিয়ে গভীর অংশে খনন করায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, সম্প্রতি মাকুন্দা নদী খনন কাজ চলামান রয়েছে। এই খনন কাজের অংশ হচ্ছে আশুগঞ্জ বাজার ও পাঁচঘরি গ্রামের মধ্যস্থানে এই ভাঙন অংশ। গত রমজান মাসে ওই অংশটি খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সভেলেটর মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশ খনন না করে তার ইচ্ছেমতো অপরিকল্পিতভাবে সড়ক ঘেঁষে মাটি তুলে নেয়। ফলে চলমান বর্ষায় পানির স্রোতে সড়টির অর্ধেক ভেঙে নদীগর্বে চলে গেছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, গত রমজান মাসে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদীর তলদেশ খনন না করে অপরিকল্পিতভাবে এক্সেভেলেটর মেশিন দিয়ে সড়কের সাইডের মাটি তুলে ফেলছে। তখন তিনি অপরিকল্পিত এ খনন কাজ বন্ধ করে দেন। তা না হলে সড়কটির অস্থিত্বই থাকত না। গত ৫জুন সড়ক ভাঙার বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বরকত ড্রেজিংয়ের সত্তাধিকারি সুহেল আহমদ অপরিকল্পিত নদী খননের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি সড়ক থেকে অনেক দূরে নদী খনন করেছেন। পরে চেয়ারম্যানের আপত্তিতে তিনি এই অংশের খনন কাজ বন্ধ রাখেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান এ প্রতিবেদককে বলেন, রোববার স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ফোন দিলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি।