আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
ধমকা হাওয়া নেই, নেই কোন ঝড়ো বাতাসও, শুধুমাত্র বৃষ্টি আসার আভাস পেলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। আসেনা ঘন্টার পর ঘন্টা। সাথে নিত্যনৈমিত্তিক লোডশেডিংতো আছেই। বিগত কয়েক মাস ধরে এমন অসহনীয় ভোগান্তির সাথেই দিন কাটছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বসবাসরত কয়েক লাখ মানুষের।

আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দেয়া তথ্য মতে উপজেলায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ থেকে ১৮ মেঘাওয়াট। আর অফ পিক্ আওয়ারে ৯ থেকে ১০ মেঘাওয়াট। এই চাহিদার বিপরীতে জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির হিসেবও প্রায় কাছাকাছি বলে জানা যায়।

তবুও কেন এত লোডশেডিং, কেন এত ভোগান্তি- এমন প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য উত্তর মিলছে না কোথাও।

শুক্রবার সকাল ১০টায় ভারী মেঘ দেখে চলে যায় বিদ্যুৎ (বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্ন্ত আসেনি)  উপজেলার বটতলী, গুন্দ্বীপ, বারশত, গোবাদিয়াসহ পুরো পশ্চিম এলাকার মুসলিম পবিত্র জুমার নামাজ আদায় হয়েছে বিদ্যুৎ বিহীন ভাবেই। শুধু আজ নয় প্রায় প্রতি শুক্রবারই পল্লী বিদ্যুতের এমন আচরণ যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির এই দিনকে কর্মব্যস্ত মানুষ কাপড় চোপড়সহ বাসার ব্যবহৃত জিনিসপাতি ধোয়ার দিন হিসেবেই বেছে নেন, ফলে প্রতিটা বাসাতে প্রয়োজন হয় বাড়তি পানি। অথচ সেই ছুঠির দিনেই বিদ্যুৎ থাকেনা সারাদিন। ফলে বৈদ্যুতিক মোটর নির্ভর পানির ট্যাংক গুলো হয়ে যায় খালি। এমতাবস্থায় ধোয়া মোছার কাজতো দুরের কথা বাসার সবার ঠিকমত গোসল সারাটাও দুস্কর হয়ে দাঁড়ায়।

বটতলী এলাকার বেসরকারী প্রতিষ্টানের চাকুরীজীবি  আবদুল কাদের সুজন বলেন, সপ্তাহে ছয়দিন কাজে ব্যস্ত থাকি, শুক্রবার ছুঠি মেলে, তাই পবিত্র এইদিনে স্বাচ্ছন্দ্যে জুমার নামাজ আদায়সহ নানা পরিকল্পনা থাকে আমাদের মত চাকুরিজীবীদের। কিন্তু আফসোস, বিদ্যুৎ নির্ভর ওইসব পরিকল্পনা বিদ্যুতের অহেতুক ভেলকিবাজিতে ভেস্তে যায়।

গুন্দ্বীপ এলাকার আরেক চাকুরীজীবি মাহমুদ আলমের একই কথা, তিনি বলেন এই দিনকে ঘিরে আমাদের মত চাকুরিজীবীদের নানা পরিকল্পনা থাকে, থাকে সামাজিক অনুষ্ঠানও। কিন্তু বিদ্যুতের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে আমরা হতাশ হয়ে যাই।

সুজন ও আলমের মত অসংখ্য সাধারণ মানুষ এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান। তাঁরা বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনের সামঞ্জস্যতা থাকার পরেও কেন বিদ্যুৎ সরবরাহে এই ভেলকিবাজি তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, এ বিষয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সচেতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তাঁরা।