স্বাধীন বাংলা প্রতিবেদক
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট। তার বাবা-মার কবর পাকিস্তানে। বেঁচে থাকলে তার ফাঁসি হতো। মৃত মানুষকে আসামি করা যায় না, এটা দেশের আইনে আছে। সে বেঁচে গেছে।

সোমবার (৩০ মে) বিকালে চট্টগ্রাম নগরের দি কিং অব চিটাগাং-এ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, , গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করেছে তারা এসে আমাদের গণতন্ত্র শেখাচ্ছে! এদেশে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের যদি কেউ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে সে হলো জিয়াউর রহমান।

নির্বাচনের মাধ্যমেই এবারের সরকার নির্বাচিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত কখনও গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না, যাদের নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী; তাদের উত্তরসূরীরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার নির্বাচিত হবে। ১৯৭০ সালে নির্বাচন থেকে ন্যাপ সরে গিয়েছিল। বিএনপির অবস্থা ন্যাপের মতোই হবে; আর আওয়ামী লীগ ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।

তিনি বলেন, ৭৫’ সালে মোস্তাক-জিয়া একটি নির্বাচিত সরকারকে ষড়যন্ত্র করে উৎখাত করে। জিয়াউর রহমান একজন কালপ্রিট। সে বঙ্গবন্ধুকে খুন করে তার হত্যার বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। ২২ হাজার ৫০০ যুদ্ধাপরাধী জেলে ছিল তাদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা ও তাদের দল বিএনপি এখন বলে গণতন্ত্র, আইনের শাসনের কথা। তাদের মুখে এসব মানায় না।