মুফিজুর রহমান নাহিদ: জালালাবাদ এসোসিয়েশন নির্বাচনে কয়েস সামি-আনোয়ার চৌধুরী-জগলুল পাশা প্যানেল থেকে সদস্য- সিলেট পদে নির্বাচনে করছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী। মোঃ এহছানে এলাহী সিলেটের গর্ব। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। ডায়নামিক অফিসার এবং প্রাণোজ্জল মানুষ তিনি। সততা ন্যায়-নীতি ও আদর্শের প্রতীক হিসেবে তার নাম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে।
মোঃ এহছানে এলাহী ১৯৯১ সালে বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে দশম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সুনাম ও দক্ষতার সাথে মাঠপ্রশাসনে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের এডিসি শিক্ষা, এডিসি জেনারেল হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলের জিএম পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি উপসচিব হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে দায়িত্ব পালনকালে বদলীপূর্বক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হলে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি গাইবান্ধার ডিসি হিসেবে প্রায় ৩ বছর দায়িত্ব পালনকালে অত্যন্ত জনপ্রিয় জেলা প্রশাসক হিসেবে মানুষের হৃদয় জয় করতে, প্রশাসনকে গতিশীল রাখতে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হন। ফলশ্রুতিতে তিনি যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে একই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এক পর্যায়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে নাজুক পরিস্থিতিতে নিমজ্জিত এ প্রতিষ্ঠানকে টেনে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করেন তিনি।
এর পর বছরের ২০ জানুয়ারি তাকে গ্রেড-১(সচিব পদ মর্যাদা) পদে পদোন্নতি দিয়ে বিসিআইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ৫ মাসের মাথায় তাকে পূর্ণ সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এহছানে এলাহী জনপ্রশাসনের একজন মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।
উল্লেখ্য যে, চাকরিজীবনের প্রারম্ভে সংসদ সচিবালয়ে মরহুম স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর সাথে কাজ করারও তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সংসদ সচিবালয়ে তিনি ডেলিগেশন ও প্রটোকল বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোঃ এহছানে এলাহী জালালাবাদ এসোসিয়েশন, স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদসহ নানা সামাজিক সংগঠনে এবং এলাকার বিভিন্ন চ্যারিটেবল কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর জন্মস্থান কানাইঘাটে তিনি খোকন নামে সমধিক পরিচিত। মোঃ এহছানে এলাহীর জন্ম সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার তিনচটি নয়াগ্রামে। তাঁর বাবা প্রয়াত আব্দুল লতিফ একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন।
স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ, চাকরিজীবি পরিষদ, এমসি কলেজ এ্যালামনাই এসোসিয়েশনসহ নানাবিধ সামাজিক সংগঠনের সাথে তিনি জড়িত। সিলেটিদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পিরামিড, আলোকিত সিলেটের কৃতি সন্তান, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা ও সামাজিকতার ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা এক বর্ণিল মানুষ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অগ্রসরমান আলোকিত জালালাবাদের প্রতিচ্ছবি, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের জৌলসময় পুরুষ, স্বজ্বন, সামাজিক এবং অমায়িক ব্যক্তিত্ব এহছানে এলাহী জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করলে জালালাবাদ তথা বৃহত্তর সিলেটের পরতে পরতে যুক্ত হবে নতুন আবহ বলে মনে করেন আপামোর সিলেটবাসী।