দুলাল কৃষ্ণ নন্দী, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শত শত খাবার স্যালাইন ডাষ্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৩মে) দুপুরে এ স্যালাইনগুলো ফেলে দেয়ার পর সাধারণ মানুষ কুড়িয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাসপাতালের নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজান নামের একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর শহিদুল শাহিন।

এবিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজান এ স্যালাইন গুলো বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দেখে ফেললে পরে তিনি ডাষ্টবিনে ফেলে দেন। এসব স্যালাইনের মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। হাসপাতালের এক রোগীর স্বজন ছকিনা বেগম জানান, তিনি গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন।

এসময় নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজানকে একটি বড় ব্যাগে করে এসব স্যালাইন নিয়ে যেতে দেখেন। অন্য মানুষজনও স্যালাইন নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখে ফেললে তিনি স্যালইনগুলো পার্শ্ববর্তী ডাষ্টবিনে ফেলে দেন। দুমকি এলাকার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব মোসলেম মিয়া জানান, ডাষ্টবিনে হাজার হাজার স্যালইন পরে থাকতে দেখে সেখান থেকে ১শ‘ স্যালাইন বাড়িতে নিয়ে গেছি। স্যালাইনের মেয়াদ দেখলাম ২০২৫ সাল পর্যন্ত রয়েছে । অপর বাসিন্দা মিশু মিয়া জানান, হাসপাতালের সামনে দাড়িয়ে দেখি সবাই স্যালাইন কুড়িয়ে নিচ্ছে। তাই আমিও ৫০ পিস নিয়েছি।

এ বিষয়ে আয়শা মারজান জানান, তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তাদের ফাঁসাতে এ কান্ড ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান। দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর শহিদুল শাহিন বলেন, এবিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো অসাবধানতা বসত এটা হয়েছে আমার কাছে মনে হয়। আন্তঃবিভাগের ময়লা ফেলা হয়েছে হয়তো তার সাথে ফেলে দেয়া হয়েছে। তারপরও তদন্তের পরে বলা যাবে। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি খোঁজ-খবর নিয়েছি । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।