বাবুল মিয়া সুনামগঞ্জ :
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র নয়া বাজার আড়তপট্টি। প্রতিবছর পৌরসভা লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করছে আড়তট্টি থেকে। সুরমা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় দোকানপাট। নষ্ট হয় লাখ লাখ টাকার পিঁয়াজ, রসুন ডাল, ছোলা, বুটের ডাল, লবণ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজীয় কাঁচা মাল। এযেনো কুপির নীচে অন্ধকার। মোল্লা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মোখলেছুর রহমান মোল্লা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা ইজারা দিয়ে আয় করছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। রাস্তাঘাট, কার্লভার্ড, ড্রেনসহ উন্নয়নমূলক কাজ পৌর এলাকার প্রতিটি জায়গায় করা হচ্ছে। কিন্তু আড়তপট্রি যেনো অবহেলার আরেকনাম। দীর্ঘদিন যাবত পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনটির স্লাব ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে প্রায় সময় ড্রেনের ভাঙ্গায় পড়ে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীগণ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বার বার পৌর মেয়র নাদের বখ্ত মহোদয়ের কাছে আড়তপট্রির রাস্তা উঁচু করণ ও  ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আবেদন নিবেদন করার পরও ভাঙ্গা ড্রেন সংস্কার ও রাস্তা উঁচু করার কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। যার কারনে আড়তপট্রির ২০/২৫ টির অধিক আড়ত দোকানীদের অবর্ননীয় কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সনামধন্য ব্যবসায়ী অসিম রায়, বিম রায়, জীবন মিয়া, মোল্লা ট্রেডার্স, দুদু মিয়া, কবির মিয়া, লেছনুর মিয়া, বারিক মিয়া, কাজল রায়, শ্যামল রায়, কার্তিক রায়, কানু রায়, বিনয় রায়, রুবেল রায়, সেন্টু রায়সহ পাইকারী ব্যবসায়ীদের একমাত্র ব্যবসা কেন্দ্র হওয়া সত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অবহেলার কারনে রয়েছে গুরুত্বহীন ভাবে। সরু এই আড়তপট্টিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমদানীকৃত মালামাল বহনকারী গাড়ী রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারণে ভিতরে প্রবেশ না করায় বেড়ে যায় কেয়ারিং খরচ। পড়তে হয় বিভিন্নরকম সমস্যায়। ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত আড়তপট্রি থেকে পাইকারী মালা ক্রয় করে ভুষিমালের ব্যবসা করে আসছি। আড়তপট্রিটি জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ পাইকারী বাজার। বাজারটির রাস্তা নিচু হওয়ায় মালামাল পরিবহনে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়। শোনা যায় প্রায়সময় মানুষজন বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার। লেবার শ্রমিক তাইজ উদ্দিন ও লেবার রনেশ দাস বলেন, আমরা কাঁচা মাল মাথায় করে পান বাজার মুল রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার সময় ভাঙ্গা ড্রেনে পড়ে মাঝেমধ্যেই মারাত্মক ভাবে আহত হই। ভুক্তভোগী আড়তপট্রির ব্যবসায়ীরা মেয়র মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও আড়তপট্টির রাস্তা উঁচুকরণ ও ভাঙ্গা ড্রেন দ্রুত সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানান।
 
এবিষয়ে সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত জানান, অচিরেই আড়তপট্রিসহ পৌরসভার প্রত্যেকটি এলাকায় রাস্তাঘাট মেরামত, ড্রেন,কার্লভার্ডসহ অন্যান্য উন্নয়নমুলক কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।