ঢাকার ধামরাইয়ে ওমর ফারুক বাবু (১৭) নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মামার পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে আমতা ইউনিয়নের বড় নারায়ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওমর ফারুক বাবু কাইটামারা গ্রামের মৃত বদিরুদ্দিনের ছেলে। তবে নিহত বাবু ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড় নারায়ণপুর গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত ওমর ফারুকের বাবা খুন হওয়ার পর মামা মোঃ রফিকুল ইসলাম মাষ্টার ভাগ্নে ওমর ফারুককে নিজের বাড়ীতে নিয়ে আসে। মামা হলেও তিনি পিতৃস্নেহে লালন করতে থাকেন ভাগ্নে ওমর ফারুককে। বুধবার বেলা বারোটার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকে। দিন গড়িয়ে রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে দুশ্চিন্তায় পড়েন পরিবারের লোকজন। সম্ভাব্য স্থানে ওমর ফারুককে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া না গেলে পরিবারের সদস্যদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায়। নিরলসভাবে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতেই থাকেন।
সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম নিহতের মামা রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখেন। পরে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কাওয়ালিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি পুকুর থেকে ডাঙ্গায় তুলেন। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহটি পুকুরে ফেলে অজ্ঞাত খুনিরা।
এবিষয়ে নিহত কলেজছাত্রের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় ওকে না পেয়ে মনে করি রাতে অবশ্যই ফিরে আসবে। রাতেও যখন বাড়ীতে আসার কোন নাম গন্ধও নেই তখন দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। বিভিন্ন স্থানে খুঁজাখোঁজি করি। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাইনি। সকালে মিলল তার মরদেহ। যেমন ওর বাবাকে হত্যার পর নদীর পাড়ে ফেলে রেখেছিল ঠিক তেমনি ওকে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে রাখে অজ্ঞাত খুনিরা। ভাগ্নের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আমার কাছে এনেও আমি তাকে বাঁচাতে পারলাম না। হায়রে নিয়তি!
ধামরাই থানার কাওয়ালিপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আসি। এরপর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করি। ছুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই বুঝা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।