শিমুল ইসলাম, যশোর মধু মাসের আগাম ফল হিসেবে যশোর জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও লিচু চাষিরা দাম পাচ্ছে না, প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ লিচু ধরেছে। চাষিরা খুশি হলেও যথাযথ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুতে বেশ ভালো দাম ছিল কিন্তুু এখন ব্যাপারীরা এক হাজার লিচুর দাম দিচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৮০০‘শ টাকা দিচ্ছে। শুরুতে দাম ছিল ২২০০ থেকে ২৮০০ টাকা বলে জানান লিচু চাষিরা, যশোর ফলপট্টি, সাতমাইল, বারো বাজার, ঝিকগোছা, নাভারন, মনিরামপুর কেশবপুর, বসুন্দিয়াসহ অনেক মোকামে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিক্রির জন্য আসা লিচু মিষ্টি ও উন্নতজাতের যা শতভাগ বিষমুক্ত।
এখানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা ও বড় বড় হাট বাজার থেকে পাইকাররা আসছেন। ঢাকা থেকে আসা ব্যাপারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মুজিবুর রহামান ভুইঞা, আক্তার হোসেনসহ অনেক ব্যাপারি অভিযোগ করে বলেন ঘাটে পারাপারে ও যানজটে গাড়ী আটকে থাকার কারনে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব লিচু ক্রয় করে ফেরত যেতে হবে। বসুন্দিয়া ফল ভান্ডারসহ অনেক মোকামের আড়ৎদাররা বলেন আমাদের এই বাজারে প্রতি দিন ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ্ টাকার লিচু বেচাকেনা হয়। নড়াইল, বসুন্দিয়া, সুদুল্লাপুর, মাহমুদপুর, জংঙ্গলবাদাল, জয়রামপুর, দিয়াপাড়া থেকে লিচু এই মোকামে আনা হয়, সকাল ৭ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বাজার জমজমাট থাকে। বেচা কেনা ভালো, দূরের পাইকাররা আমাদের এখানকার আতিথিয়েতায় খুশি, তারা লিচু ক্রয়ে দারুন লাভবান হবেন।
এদিকে যশোর কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা স্বাধীন বাংলাকে বলেন এবার যশোর ও আশপাশে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষীরা ভালোভাবে লিচু বিক্রয় করতে পারবেন, লিচু বাগানে গতবারের চেয়ে এবছর লিচুর দারুন ফলন হয়েছে চাষীরা অনেক বেশি লিচু পাবে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে দুই থেকে তিনজন কৃষি অধিদপ্তরের লোক রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত লিচু বাগান পরিদর্শন করছেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। দেশি, চাইনা থ্রী, বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের লিচুর ফলন এবারে ভালো হয়েছে।