স্বাধীন বাংলা ডেস্ক
কেন্দ্রের কোষাগারে ফের টান পড়েছে। আর সেই ঘাটতি মেটাতে ইতিমধ্যেই একাধিক সরকারি সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কোষাগারে টান পড়লেও বাদ যাচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর। শুধু আমজনতাকেই এর ঘাটতি পূরণ করতে মাশুল দিতে হচ্ছে। হাত উল্টেই বসে আছে বিজেপি সরকার।

শুধু লোকসানের বাহানা। লাভে চলা সংস্থাও চালাতে পারবে না কেন্দ্র। তাই পানির দরে বিক্রয় হচ্ছে শেয়ার। সংস্থাগুলি পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নেওয়ার নাম তো নেইই, উল্টে একের পর এক সংস্থাকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে মোদি সরকার।

কেন্দ্রের বেসরকারিকরণের লক্ষ্য যেন থামছেই না। এবার কেন্দ্রের তালিকায় পরবর্তী সংস্থা শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া । বর্তমানে এই সংস্থার হাতে কেন্দ্রের প্রায় ৬৩.৭৫% শেয়ার রয়েছে। হাতে থাকা এই শেয়ারের পুরোটাই ছেড়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, একটানা দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার প্রচেষ্টা করছে এই সংস্থাকে নিলামে তোলার। একাধিক অফারও তারা পেয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু কারণের জন্য তা আটকে ছিল। বর্তমানে অবশ্য এই সংস্থার শেয়ার বিক্রির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। সূত্র বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এই সংস্থার নিলাম হবে। সেইমতো তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোষাগার ঘাটতি মেটাতে এয়ার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকী কোষাগারের ঘাটতি মেটাতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্‍ বীমা সংস্থা লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন এর শেয়ারও বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। এবার আরও ৬০টি সংস্থা বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। একের পর এক সংস্থাকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে থাকা মোদি সরকার পুরো দেশটাকেই বেঁচে ফেলতে চাইছেন বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক মহল অবশ্য বলছে, এবার সোনার ডিম নয়, হাঁসটাকেই বিক্রি করে ফেলতে চাইছেন মোদি।