স্বাধীন বাংলা ডেস্ক:
খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রকৃতিকন্যা জাফলং, পাথুরে সম্রাজ্য বিছনাকান্দি, সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুল ও মায়াবতী ঝর্ণা পান্তুমাই বাংলাদেশের পর্যটকদের এক আধারভূমি যা গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীর গর্ব ও ঐতিহ্যের স্মারক।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের বিমোহিত করতো উক্ত অঞ্চল। এক সময়ে ঢাকাইয়া চলচিত্রের শুটিংয়ের অন্যতম স্থান ছিল এসব অঞ্চল; যার সৌন্দর্য প্রতিনিধিত্ব করতো পুরো বাংলাদেশের সৌন্দর্র্যের।

খনিজ সম্পদে ভরপুর গোয়াইনঘাটের প্রতি কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং আমলা চক্রের লোলুপ দৃষ্টিতে সময়ের ব্যাবধানে হারিয়ে যাচ্ছে গোয়াইনঘাটবাসীর গর্ব এবং ঐতিহ্যের স্মারক দর্শনীয় স্থানগুলো।

সাম্প্রতিক জাফলংয়ে পর্যটকদের সাথে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনা গোয়াইনঘাটের পর্যটনশিল্পকে ধ্বংস করার কুচক্রীমহলের একটি ধারাবাহিকতা প্রচেষ্টা যা গোয়াইনঘাটবাসীর হৃদয়ে আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল গোয়াইনঘাটবাসীর পক্ষ হইতে গোয়াইনঘাট এসোসিয়েশন অব মিশিগান উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে সুরক্ষা ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যটন ও খনিজ মন্ত্রণালয়সহ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এমপি’র সুদৃষ্টি কামনা করছে সংগঠনটি।

একইসঙ্গে সংগঠনটি পর্যটকদের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হারানো জনউপযোগী শান্ত সাবলীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।