কামরুল ইমলাম, ভালুকা প্রতি বছরের মত বোরো ধান চাষ করে পুরো সংসারের চাহিদা পূরণ করে আসছিলেন। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাও গ্রামের কৃষকরা। চলতি বছর বোরো মওসুমে প্রায় অনেক জমিতে ‘ব্রি-ধান ২৯ আবাদ করেন এ গ্রামের শতাধিক কৃষক স্বপ্ন ছিলো অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও পরিবারের চাহিদা মেটানোর। কিন্তু সেটি আর হচ্ছে না। তাদের আবাদকৃত বেশিরভাগ জমির ধানেই ব্লাস্টের আক্রমণে চিটা হয়ে গেছে। এতে করে চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন এবং হতাশায় দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোছাঃ সাবেরা আক্তারকে তারা কেউই চিনেন না। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোন পরামর্শ দেননি। কৃষকরা তার সাথে যোগাযোগ করলে খারাপ ব্যাবহার করেন তিনি। কৃষকদের মাঝে বরাদ্দকৃত সরকারি কৃষি প্রণোদনা কতিপয় মুখচেনা লোকদের মাঝে বিতরণের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা যায় ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার সাবেরা আক্তার মওসুমে একবারও কৃষকদের ধারে কাছে যান না। স্থানীয় বাজারে সার কিটনাশকের দোকানে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যান। এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর তারা সকল কৃষক মিলে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধানে চিটা হওয়ার দাবি করছেন কৃষকরা। ব্রি-২৮ জাতের ধান কাটা শুরু হলে মাড়াই করতে গিয়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, উপজেলায় এবছর ১৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পোঁকা আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ব্রি-২৮ ধানসহ বেশ কয়েকটি জাতের ধানে চিটা দেখা দিয়েছে, তবে তার মাত্রা বেশি নয়। তবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সাবেরা আক্তারের বিরুদ্বে আনা লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, তদন্তপূর্বক তার বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।