জীবননগর উপজেলার হাসাদহ মাদ্রাসপাড়ার মিজানুর বলেন, আমার মেয়ে রুপভানকে দেড় যুগ আগে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার মাহাম্মদপুর গ্রামে বিয়ে দেই। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় তাদের দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হলে তাদের দাম্পত্য জীবনে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। অতি সম্প্রতি আমার মেয়ে রুপভানকে অন্যত্র বিয়ে দেই।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আমি বাড়ী ছিলাম না। এসময় তরিকুল আমাদের বাড়ীতে একটি ধারালো হাসুয়া নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে বাইরের বিদ্যুতের লাইট ভেঙ্গে ফেলে। আমার স্ত্রী শাহিদা ও মেয়ে রুপভান ঘটনা কি জানতে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মাত্র হাতে হাসুয়া দিয়ে তরিকুল আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এসময় তরিকুলকে আমার মেয়ে ঝাপটে ধরলেও তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। পরে স্ত্রীকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।