আহসান হাবীব আরমান : জয়পুরহাটে বিভিন্ন মাঠে মাঠে মৌমাছি বক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে মৌয়ালরা। মৌচাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাঁদের এ ব্যস্ততা। কিন্তু বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও পুঁজির অভাবে মৌখামার বাড়াতে পারছেনা তাঁরা। তাই তাঁদের চাওয়া স্বল্পসুদে ঋণ।
জয়পুরহাট বিসিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সরিষার ফুল থেকে ৩০ মেট্রিক মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার সরিষার চাষও বেশি হয়েছে।
মৌচাষের প্রশিক্ষণার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ, আমিনুর রশিদ, রবিউল ইসলামসহ অনেকেই জানান, পুঁজির অভাবে মৌখামার বাড়াতে পারছে না তাঁরা। স্বল্পসুদে ঋণ পেলে তাঁরা তাঁদের খামার সম্প্রসারিত করতে পারতেন। আর তাঁদের মতো অনেক শিক্ষিত বেকার চাকুরীর পিছে না ছুটে- অল্প সময়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে, স্বল্প পুঁজিতে মৌ চাষের মাধ্যমে সহজেই বেকারত্ব ঘোচাতে পারতেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের মৌমাছি পালন কর্মসূচিতে কারিগরি সহকারী হাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশ এর মধু বিদেশে রপ্তানি হয়। এখন দেশেই হাজার হাজার মণ মধু উৎপাদন হয়। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিেেদশ রপ্তানি করা হয়।
তিনি আরও জানান, বর্ষাকালে মৌমাছিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য দিতে হয়। এতে মৌ খামারে ব্যয় বেশি হয়। ফলে পুঁজির অভাবে প্রশিক্ষিত অনেকেই এটিকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন না। যদি সরকার মৌ চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাহলে এ খাত হতে পারে বেকারত্ব দূরীকরণের বাতিঘর।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর জয়পুরহাটের উপ-ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, পুরানাপৈল এলাকায় একটি মৌ চাষ প্রশিক্ষণ সেন্টার চলমান আছে। আগ্রাহী মৌখামারদের ঋণসহ সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।