শাবি প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নতুনভাবে একদফা দাবি দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশন করবে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে শাবিপ্রবির উপাচার্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশন শুরু হবে। একই সঙ্গে প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদকেও পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন তারা। মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হল ঘুরে গোলচত্বরে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সোমবার দিবাগত রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার পাঠানো প্রতিনিধির মাধ্যমে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এর পর প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানরত পুলিশ, রায়ট কার ও জলকামান প্রত্যাহার করা হয়। প্রধান ফটক থেকে পুলিশ সরে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরাও উপাচার্যের ভবন থেকে সরে যান।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গোলচত্বরে জড়ো হয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১৫ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তার বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
উপাচার্য জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই শিক্ষার্থীদের কাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হলত্যাগ করার নির্দেশ দেন।