সখীপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ম্লান করার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস, কলঙ্কিত ও মুছে ফেলার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন একটি ক্ষুধা ও দারিদ্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের। এদেশের লক্ষ মায়ের ছেলেরা তাঁর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে অনেক পরিবর্তন এনেছিলেন। অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে।
এক সময় ছিল মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া যেতোনা। মনে হতো যেনো মুক্তিযুদ্ধে করে আমরা অপরাধ করেছিলাম। এদেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে না পারে তার জন্য বই-পুস্তকে পাক বাহিনী, রাজাকার, হানাদার বাহিনী, আলবদর, আল শামস লেখা বন্ধ করে দিয়ে ছিল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিরা টানা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। তাদের শাসনের ভিত্তিই ছিল সাম্প্রদায়িকতা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সম্মান দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে (১১ ই ডিসেম্বর ) টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘বিজয় ৭১ সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত শপথস্তম্ভের পাশে উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ৫০তম টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে ‘বিজয় ৭১ সমাবেশ’র আয়োজন করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ, সাংস্কৃতিক ফোরাম ও টাঙ্গাইল আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটি।
অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বাদল, বীরমুক্তিযোদ্ধা এম ও গণি, প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান শেলী, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন, সম্পাদক শওকত শিকদার, ইউএনও চিত্রা শিকারী, প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ, সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মনছুরুল আলম হীরা, পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, সাবেক সচিব হুমায়ুন খালিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।