স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিবীণা হলের ডাইনিং এর ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় যেখানে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করার কথা সেখানে অগ্নিবীণা হলের আশেপাশে দেখা গেছে পরিবেশের ভিন্ন  চিত্র। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে  বিভিন্ন স্থানে ময়লা ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে ক্যাম্পাসের পরিবেশ। যার ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে।

রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা নিয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন এটা খুবই খারাপ কাজ, ময়লা যথাযথ স্থানে ফেলা উচিত। এই ঘটনা যাতে পরবর্তীতে আর না ঘটে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, এটা তো রাগ উঠার মতো একটা ব্যাপার। ক্যাম্পাসের রাস্তায় সবার অহরহ চলাফেরা। রাস্তার পাশে ময়লা ফেললে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হবে, আমাদের নিজেদের ই চলাফেরায় অসুবিধা হবে। তাছাড়া, ময়লা যেখানে সেখানে ফেলে রাখাটা আমি ব্যক্তিগতভাবেই ভীষণ অপছন্দ করি। আমি প্রচুর চুইঙ্গাম খাই এবং আশেপাশে ঝুড়ি খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত ওই চুইঙ্গামের খোসাই পকেটে নিয়ে ঘুরি। ময়লা করা ও ময়লা দেখা দুটোই খুব বিরক্তিকর।

এ বিষয়ে অগ্নিবীণার হলের প্রভোস্টের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিটি করপোরেশন এর ৪টা ডাস্টবিন রয়েছে। এরমধ্যে একটি ডাস্টবিন নতুন গেস্ট হাউজ নির্মাণের সময় ট্রাক ওয়ালারা মালামাল নিতে গিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এখন সেই ময়লাগুলোই নিচে ফেলা হয় কিন্তু প্রত্যেক শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১১ টার মধ্যে সিটি করপোরেশন এর লোকেরা সিটি করপোরেশন এর গাড়ি নিয়ে এসে এই ময়লাগুলো নিয়ে যায়। তাই আমার মতে হলের চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই আছে,হলের চারপাশে কোনো ময়লা নেই।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার হুমায়ুন কবীর বলেন,অগ্নিবীণা হলের ডাইনিংয়ের ময়লা যদি রাস্তার পাশে ফেলা হয়ে থাকে তাহলে এটা আমার জানা ছিল না। আমি এই বিষয়ে খোঁজ নিব। রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা ঠিক না।যদি তারা ডাইনিংয়ের ময়লা রাস্তার পাশে  ফেলে থাকে তাহলে এগুলো যাতে না ফেলে এই ব্যাপারে আমি তাদের সাথে কথা বলবো।