বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি : মা বাড়িতে না থাকলে অভিযুক্তরা প্রায়ই তাদের বোনকে ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করত। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নে বোনকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগে রাব্বি মিয়া (২৮) ও মমিন আহমদ (২০) নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তার দুই ভাই উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রহমাননগর গ্রামের আলী জব্বারের ছেলে।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ভোররাতে ঘুমন্ত বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার করে ভুক্তভোগী। এতে তাদের মা ছুটে এলে ভাইটি পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি তার মাকে জানায়, ২১ অক্টোবর অন্য আরেক ভাই তাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু লজ্জায় সে এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি।
১৫ বছর বয়সী ওই ভুক্তভোগীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেন ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুইভাইসহ তাদের মা ও ছোটবোন একই বাড়িতে থাকত। মা বাড়িতে না থাকলেই অভিযুক্তরা তাদের বোনকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক মামুনুর রশিদ বলেন, “মা তার ছেলেদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।”
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রহমাননগর গ্রামের আলী জব্বারের স্ত্রী মন বিবি ছেলেমেয়েকে নিয়ে একই ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। তার অগোচরে ছেলে রাব্বি মিয়া ও মমিন আহমদ তাদের আপন কিশোরী বোনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই জোরপূর্বক ধর্ষণ করত। একইভাবে গতকাল শুক্রবার ভোররাতেও ঘুমন্ত ছোটবোনকে মমিন আহমদ ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার দেন। এ সময় মা ছুটে গেলে সটকে পড়েন মমিন। তখন নিগৃহিতা তার মাকে জানান, এর আগেও গত ২১ অক্টোবর ভোররাতে তাকে ধর্ষণ করেছেন তার আপন বড়ভাই রাব্বি মিয়া। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি ঘটনাটি কাউকে বলেননি। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিশ্বনাথ থানায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন মন বিবি। মামলা নাম্বার ১২।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।