স্টাফ রিপোর্টার : মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম.এ.জি ওসমানীর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার। দিবসটি উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ’ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। বুধবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদের প্রেসিডেন্ট সৈয়দা মাসুদা খাজা’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী। এছাড়া সভার সঞ্চালনায় থাকবেন বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদের মহাসচিব এম, এ, রকিব খান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল এম আতাউল গণি ওসমানী। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকার এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি করে। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন। বিচক্ষণতার সঙ্গে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা প্রদান করা হয়। তিনিই দেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।